শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন

সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রস্তাবিত বাজেটের টুকিটাকি তুলে ধরা হলো-

করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকাই থাকছে
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা চলতি অর্থবছরের মতোই আড়াই লাখ টাকা রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে খানিকটা সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের মতো ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের করমুক্ত সীমা ৩ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এছাড়া গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা থাকছে আগের মতোই ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ২৫ হাজার বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন , “প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার স্থলে ৪ লক্ষ টাকা প্রস্তাব করছি। ”

প্রস্তাবিত বাজেটে দাম বাড়ছে সিগারেটের
নিম্নস্তরের সিগারেট এবং ই-সিগারেটের দাম বাড়ছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। দেশি ও বিদেশি উভয় প্রকার সিগারেটের ক্ষেত্রেই এটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে উচ্চস্তরের সিগারেটে শুল্কস্তর তেমন পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে উচ্চস্তরের সিগারেটের মূল্য তেমন বৃদ্ধি পাবে না। নিম্নস্তরের সিগারেটে বিদায়ী অর্থবছরে একটি স্তর থাকলেও তা ভেঙ্গে দুইটি স্তর করা হয়েছে। সাথে বৃদ্ধি করা হয়েছে সম্পূরক শুল্ক। ফলে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়বে।
এছাড়া ই-সিগারেট বিড়ি সিগারেটের মত স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। বর্তমানে ই-সিগারেট এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য এতে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশিয় শিল্প সুরক্ষা ও ক্রমান্বয়ে একটি একক হারে উপনীত হওয়ার লক্ষে নিম্ন স্তরের দেশিয় ব্রান্ডের সিগারেটে প্রতি ১০ শলাকার মূল্যস্তর ২৩ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৭ টাকা এবং সম্পূরক শুল্কহার ৫০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ৫২ শতাংশ প্রস্তাব করছি। এছাড়া ১০ শলাকার নিম্নস্তরের আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের সিগারেটে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণসহ সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, ৪৫ টাকা ও তদুর্ধ্ব মূল্যে বিদ্যমান মধ্যম ও উচ্চ মূল্যস্তরের সিগারেটের ব্র্যান্ডসমূহের জন্য কোনো মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। সেক্ষেত্রে এতে সম্পূরক শুল্ক ৬৩ শতাংশ থাকবে। এছাড়া ৭০ টাকা ও তদুর্ধ্ব সিগারেটের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থাকবে।
ই-সিগারেট সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ই-সিগারেট সচ্চল ও তরুণ ধূমপায়ীদের মধ্যে ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পণ্যটির বর্তমান শুল্কহার ১০ শতাংশ। এর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বরাদ্দ পেলো আইসিটি বিভাগ
গত বছেরর তুলনায় দ্বিগুণ বরাদ্দ পেলো আইসিটি বিভাগ। যার আকার দাড়িয়েছে ৩৯৭৪ কোটি টাকা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ব্যয় হবে এ অর্থ।
বৃহস্পতিবার ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের’ স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই বাজেট বরাদ্দ ঘোষণা করেন।
এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।

শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ২৬.১২ শতাংশ
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন খাতে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ২৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন খাতে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ২৩ হাজার ১৪১ কোটি টাকা; প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২২ হাজার ২২ কোটি টাকা; স্বাস্থ্যসেবায় ১৬ হাজার ১৮২ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাতে ৪৩ হাজার ২২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৪ শতাংশ
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
একই সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাজস্ব আয়, বিনিয়োগ ও বৈদেশিক সাহায্য বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের ওপর জোর দেওয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
এদিকে, চলতি (২০১৬-১৭) বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭.২ শতাংশ। তবে নয় মাসের প্রাক্কলন অনুযায়ী ৭.২৪ শতাংশ অর্জিত হওয়ার কথা সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।

মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬০০ ডলার
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।
এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থায়নের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে বৈদেশিক অনুদান ১ দশমিক ৪ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ঋণ ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। কর ব্যতীত আয়ের প্রত্যাশা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বর্হিভূত কর ২ দশমিক ১ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর ৬২ শতাংশ। রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর এরমধ্যে মূল্য সংযোজন কর ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ, আমদানি শুল্ক ১২ দশমিক ১ শতাংশ, আয়কর ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ, সম্পূরক কর ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

যেসব উৎস থেকে আসবে বাজেটের অর্থ
২০১৭-১৭ অর্থবছরের বাজেটের অর্থ সংগ্রহের উৎস সমূহ সম্পর্কে বাজেট অধিবেশনে বিবরণ পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
যেখানে বাজেটের অর্থ সংগ্রহের মূল উৎস ধরা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর। এ খাত থেকে অর্থ আসবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা বাজেট আকারের ৬২ শতাংশ। বাকি অর্থ আসবে অভ্যন্তরীণ ঋণ, বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক অনুদান, এনবিআর বহির্ভূত কর এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি থেকে।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থায়নের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে বৈদেশিক অনুদান ১ দশমিক ৪ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ঋণ ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। কর ব্যতীত আয়ের প্রত্যাশা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বর্হিভূত কর ২ দশমিক ১ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর ৬২ শতাংশ। রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর এরমধ্যে মূল্য সংযোজন কর ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ, আমদানি শুল্ক ১২ দশমিক ১ শতাংশ, আয়কর ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ, সম্পূরক কর ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।
এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী