সোমবার, জুলাই ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

প্রধানমন্ত্রী ঢাকাকে বাঁচান: রওশন

সংবিধানের তিনটি সংশোধনী বিলসহ ৬টি বেসরকারি বিল নাকচ

সংবিধানের সংশোধনী আনতে দশম সংসদে উত্থাপিত পৃথক তিনটি বিলসহ মোট ৬টি বেসরকারি বিল গ্রহণ করেনি জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি। চলমান সংসদের সাড়ে তিন বছরে মোট ৮টি বেসরকারি বিল জমা হয়। এরমধ্যে ছয়টি বিলই নাকচ হয়ে যায়। বাকি দুটি বিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটি’র প্রথম প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কমিটির সভাপতি জিল্লুল হাকিম সংসদে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন।

সংসদে উত্থাপিত বেসরকারি সদস্যদের বিলগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্বতন্ত্র এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল ২০১৪, সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল ২০১৪, সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল ২০১৪, বাংলা ভাষা প্রচলন (সংশোধন) বিল ২০১৫, বিধি ও প্রবিধান প্রণয়ন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৫, জেলা জজ আদালত মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ (এখতিয়ার) বিল ২০১৫ এবং ইসরাফিল আলম উত্থাপিত বিদেশি নিবন্ধন বিল ২০১৫ ও অসংগঠিত শ্রমিক কল্যাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা (অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত) বিল ২০১৫। বিলগুলোর মধ্যে জেলা জজ আদালত মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ (এখতিয়ার) বিল ২০১৫ এবং অসংগঠিত শ্রমিক কল্যাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা (অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত) বিল ২০১৫ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি বিলগুলো নাকচ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী ছাড়া কোনো সাধারণ সংসদ সদস্য কোনো বিল উত্থাপন করলে সেটিকে বেসরকারি বিল বলা হয়।

কোনো এমপি বিল উত্থাপন করলে তা ‘বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি বিল আলোচনা-পর্যালোচনা করে সংসদে পেশ করা না-করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী ঢাকাকে বাঁচান: রওশন
ঢাকাকে বাঁচাতে সারা দেশ থেকে রাজধানীমুখী মানুষের স্রোত থামাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, আপনি ঢাকাকে বাঁচান। আপনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। রাজধানীতে যে পরিবেশ দুষণ। রাস্তাগুলো ড্রেনের নামে খোড়াখুড়ি হচ্ছে। বৃষ্টিতে মানুষজন চলতে পারছে না। গাড়ি চলতে পারছে না। স্কুলে যেতে পারছে না। এছাড়া প্রতিদিন ৯৬০ জন লোক ঢাকায় আসছে। লোকজন কাজের সন্ধানে স্রোতের মতো ঢাকায় আসছে। ঢাকাতে তারা বস্তির মতো ঘরে ১০/১২ জন ঠাসাঠাসি করে থাকে। ঢাকাকে বাঁচাতে চাইলে জেলা উপজেলায় ছোট ছোট কলকারখানা করে দিন। যাতে যেখান থেকে লোকজন এসেছে, সেখানে ফিরে যেতে পারে। একইসঙ্গে তিনি ঢাকামুখী মানুষের চাপ কমাতে ৮টি বিভাগীয় শহরে হাইকোটের বেঞ্চ দেওয়ার আহ্বান জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ১৬তম ও বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।

চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন প্রতি ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়া হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় সে বিষয়ে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। খাদ্যে ভেজাল সম্পর্কে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, লবনে বিষ দিচ্ছে এটা কেউ চিন্তা করেছে? এখন চিন্তা করে দেখেন লবনে বিষ দিচ্ছে। ট্যানারীতে বা ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার হওয়া লবন অনেক চেষ্টা করে মানুষকে খাওয়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কারা এগুলো করছে? ছুরি দিয়ে মারা আর বিষ খাইয়ে মারা একই হচ্ছে। আইনের প্রয়োগে এটা নিয়ন্ত্রণ না করলে এই ভেজাল বন্ধ হবে না।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, বৃষ্টি হচ্ছে অতিরিক্ত, ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো না হওয়ায় পানিটা জমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।

দেশের জনগোষ্ঠির বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জনসংখ্যা কমানোর চেষ্টা না করলে ২০৫০ সালে আমাদের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ২০ লাখ। এত মানুষ কোথায় বাড়িঘর করবে? কোথায় কৃষি জমি থাকবে? আমাদের দেশে এখন সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। ৮/৯ কোটি কর্মক্ষম মানুষ। আমাদের দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষের কাজ আছে। আর সাড়ে ৪ কোটি /৫ কোটি মানুষের কাজ নেই। কাজ না পেয়ে নতুন প্রজন্ম বিপথে যাচ্ছে। প্রতি বছর প্রায় ২৮ লাখ ছেলে-মেয়ে পড়ালেখা শেষ করছে। কাজ পাচ্ছে না। তারা ইয়াবা খাচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। উপজেলা-জেলা পযায়ে ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠান যদি করে দেন, তাহলে আমরা এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারি। তাহলে কিন্তু আমাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এসময় তিনি চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা যদি বাড়ানোর দাবি জানান।

সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা যখন তিলোত্তমা শহর ছিল তখন কলকাতা নোংরা শহর ছিল। এখন কলকাতা তিলোত্তমা ঢাকা নোংরা। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এখনো গড়ে ওঠেনি। ইলেকট্রনিক বর্জ্য হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। এটার ঝুঁকি বেশি। মেডিকেল বর্জ্য অপসারণে কোনো ব্যবস্থা আমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি। এই বর্জ্য গুলো কিভাবে অপসারণ করা হয় যাতে আমাদের পরিবেশ দূষণ না হয়। রওশন বলেন, সবাই কিন্তু মোবাইল ব্যবহার করছে। যে দেশগুলো মোবাইল বিক্রি করছে তাদের উচিত অকেজো মোবাইল নিয়ে যাওয়া। কিন্তু আমাদের দেশে এ আইন নেই। এই ইলেকট্রনিক বর্জ্য কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে না পারলে কিন্তু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বা ভিশন ২০২১ বা ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী