সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : নিত্যজিতের খোর্দ বাওড় নিয়ে বাবুল সচিনের বিশৃঙ্খলা
সচিন বিশ্বাসের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আমি নিজে জামিন লাভ করলেও এখনও আটক রয়েছেন কলারোয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়না। আমি তার মুক্তি দাবি করছি।
বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন, কলারোয়ার খোর্দ মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যজিত ঘোষ।
এ সময় সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন বিশ্বাস ও সদস্য খায়রুল বাসার উপস্থিত ছিলেন।
নিত্যজিত বিশ্বাস বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কনিকা রানী বিশ্বাস কর্তৃক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি এর প্রতিবাদ জানান।
লিখিত বক্তব্যে নিত্যজিত বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে গত ২৩ মে তারিখে কলারোয়ার খোর্দ বাওড়টি এক সনা বন্দোবস্ত নেওয়া হয় সমিতির সভাপতি বাবুল বিশ্বাসের নামে। গরিব মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা রক্ষায় বাওড়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করে মাছছাড়া, টোংঘর তৈরি,নৌকা তৈরি, মাছের খাদ্য সংগ্রহসহ পাহারাদারও নিয়োগ করা হয়। এ জন্য আমাদের অনুকূলে অনেকে অর্থও দেন।
নিত্যজিত বিশ্বাস আরও বলেন, শুরু থেকেই বাবুল বিশ্বাস ও সচিন বিশ্বাস ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে অসদাচরণ করতে থাকেন। এতে সাধারণ সদস্য ও কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। এসবের প্রতিবাদ করতে থাকায় বাবুল বিশ্বাস জেলা প্রশাসক বরাবর হয়রানিমূলক অভিযোগ করে।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে বাবুল বিশ্বাসের সাথে গত ১১ সেপ্টেম্বর কথা বলতে গেলে সেখানে চায়ের দোকানে বসে থাকা সচিন বিশ্বাস লোকজন দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সে খালের ধারে স্লুইস গেটের রেলিংয়ে পড়ে আঘাত খায়। এতে সে বেশ আহত হয়।
তিনি বলেন, এই ঘটনাকে পুঁজি করে ১৬ সেপ্টেম্বর কলারোয়া থানায় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়না ও আমার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় ময়না ও নিত্যজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিত্যজিত বিশ্বাস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খোর্দ বাওড়ের আশপাশে ৩/৪টি গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে জমি লীজ নিয়ে বাওড়ের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব নিয়ে তাদের সাথে আমাদের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এমন অবস্থায় বাবুল বিশ্বাস ও সচিন বিশ্বাসের বিশৃঙ্খলা ও অন্যায় আচরণের কারণে বাওড় ব্যবস্থাপনা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বাবুল ও সচিন দেয়াড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়নাসহ অর্থদাতাদের হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে যে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন মিথ্যা ও বানোয়াট। কনিকা বিশ্বাস সংবাদ সম্মেলনে ১১৪ জন হিন্দু সদস্যকে সমিতির সদস্য বললেও প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা ৩৬ জন মাত্র।
তিনি বলেন, কপোতাক্ষর মরণদশার পর তেকে এই বাওড়ই মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। অথচ বাবুল সচিন তা লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।
নিত্যজিত বিশ্বাস এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বাওড়ে বাবুল সচিনের বিশৃংখলারোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন