শুরুতেই বিতর্কে জড়িয়ে পরলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নব গঠিত আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম। তার বিরুদ্ধে অতীতে নারী কেলেঙ্কারীসহ নিয়মিত কলেজে আসা যাওয়া না করা এবং সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীরা তাকে না চেনাই কারণ।

এছাড়া রাজপথের বঞ্চিত, ত্যাগী, মেধাবী ছাত্রদের বাদ দিয়ে নতুন আংশিক পকেট কমিটি করে দেয়ায় সালাম এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। অথচ সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীরা জানেন না যে সালাম সরকারি কলেজের ছাত্র। অতীতে কলেজ ছাত্র সংগঠনের কোন কার্যক্রমে তাকে দেখা না মিললেও সম্প্রতি দেখা মিলছে চোখে।

প্রতিবেদকের কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউপি’র গাজনা গ্রামের আব্দুর রহমান মোড়েলের ছেলে কলারোয়া সরকারি কলেজের অনার্স (১ম) বর্ষের ছাত্র ও কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম। তিনি অতীতে একই ইউপি’র বেগম খালেদা জিয়া কলেজের এইসএসসি প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে কলেজে আসা যাওয়ার পথে নানা ভাবে উক্তত্য করে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সালাম অতীতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে ছাত্র সংগঠনকে কুলষিতও করেছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু কলেজ ছাত্রী বুঝে উঠায় আগে তার শয্যাসঙ্গী প্রেমে রাজি না হওয়ায় সালাম ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীকে এ্যাসিড মেরে মুখ ঝলসে দেয়ার হুমকিও দেন। সেদিন কলেজ ছাত্রী নিরুপায় হয়ে পরিবারের কাছে বিষয়টি আলোচনা করে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে, কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বলেন, বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করা ত্যাগী, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রদের বাদ দিয়ে জেলা ছাত্রলীগ কলারোয়া কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক একটি কমিটি করে দিয়েছে। তাদের দাবি বিতর্ক সালামের বিরুদ্ধে ধানদিয়া কলেজের এক ছাত্রীকে শস্যাসঙ্গী করার অপরাধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের আছে। ঘোষিত কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটিতে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দেয়ার কারণে সাধারণ সম্পাদক সালামের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছেন বঞ্চিত নেতারা।
যাতে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটিতে কলেজের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের বিশেষ করে ছাত্রলীগের কর্মীসমর্থকদের মতামতের ভিত্তিতে জেলা ছাত্রলীগের উপস্থিতিতে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি করে দেয়া হোক এই আহবান জানান তারা।

এ বিষয়ে বঞ্চিত নেতারা বলেন, ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালামকে কখনো কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা-ই যায়নি। ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচিতে এর আগে কখনো তৎপরভাবে তাকে পাওয়া যায়নি। হঠাৎ করে তার উড়ে এসে জুড়ে বসা সাধারণ নেতাকর্মীরা বিষ্মিত ও ক্ষুব্ধ।

কলারোয়া কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে পরীক্ষিত ও নিবেদিত বঙ্গবন্ধু সৈনিককে দেখতে চায় -যোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন- কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির বিষয়ে তাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখি সালামকে বিতর্কে জড়িয়ে কেউ পতাকাবাহী সংগঠন ছাত্রলীগকে কুলষিত করলে সংগঠন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা অচিরেই কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বিষয়টি নিষ্পত্তি করবো।

অথচ বিষ্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে- ‘জেনে-শুনেই নারী কেলেঙ্কারী সালামকে কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোনিত করায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জনিয়েছেন কলারোয়ায় ছাত্রলীগের একটি অংশ ও ইউনিয়ন আ.লীগর কয়েকজন নেতা।

এদিকে, অভিযোগ তীর যার দিকে সেই আব্দুস সালামের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---