শিক্ষার্থীকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর চেকের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন কলারোয়ার সেই প্রধান শিক্ষক
কলারোয়ার শিশু শিক্ষার্থীকে দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই চেকের টাকা অবশেষে ফেরত দিতে বাধ্য হলেন বদহজম হওয়া প্রধান শিক্ষক।
কলারোয়া নিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই খবরটি প্রচার ও ভাইরাল হওয়ার পর বুধবার (২৪এপ্রিল) উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ১২০নং কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে তদন্তে যান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম এবং কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোজাফফার উদ্দীনসহ দু’জন সহকারী শিক্ষা অফিসার।
তাদের উপস্থিতিতে সেখানে ভূক্তভোগি কৃতি খেলোয়ার-শিক্ষার্থীর পরিবার এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নিয়ে শোনাবোঝার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ১০হাজার টাকার চেক ফেরত দিতে বাধ্য হন প্রধান শিক্ষক এসএম শহিদুল ইসলাম।
২০১৮সালের আন্ত:প্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ১০০মিটার দৌড়ে থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারের পর জাতীয় পর্যায়ে সারা দেশের মধ্যে ৩য় স্থান অধিকার করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উত্তর সোনাবাড়িয়া গ্রামের আনছার আলীর পুত্র আব্দুল মোমিন (১২)। সে বাড়ির পাশের ১২০নং কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। গতবছরের ওই প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলতি বছরের ১৩মার্চ রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে কলারোয়ার শিশু শিক্ষার্থী মোমিনকে মেডেল, সনদপত্র ও আর্থিক প্রনোদনার চেক তুলে দেন। চেক পাওয়ার পরপরই অনুষ্ঠানে মোমিনের সাথে উপস্থিত কোমরপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম শহীদুল ইসলাম চেকটির উল্টো পিঠে মোমিনের দু’টি স্বাক্ষর করিয়ে চেকটি নিজের (প্রধান শিক্ষক) কাছে রেখে দেন। কলারোয়ায় ফিরে আসার পর চেকটি নেয়ার জন্য কৃতি শিক্ষার্থী মোমিন ও তার পরিবার কয়েকদিন প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। এমনকি উত্তেজিত হয়ে মারতে উদ্যত হন ও হুমকি-ধামকিও দেন। ওই ঘটনায় সম্প্রতি মোমিনের পিতা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত-প্রচারিত হয়।
জানা গেছে- বুধবার বেলা ১টার দিকে খুলনা থেকে আসা দুদকের টিম কলারোয়ার কোমরপুর প্রাইমারি স্কুলে যান। সেখানে কৃতি ওই খেলোয়ার-শিক্ষার্থী ও তার পিতা এবং বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুনছুর আলীর কাছে বিষয়টি জানাবোঝার পর প্রধান শিক্ষককে চেকের টাকা তাৎক্ষনিক ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিলে প্রধান শিক্ষক উৎসকু জনতার উপস্থিতিতে চেকের নগদ ১০হাজার ফেরত দেন। ভূক্তভোগিদের দাবিকৃত জেলা-বিভাগীয় পর্যায়ের ১৫হাজার টাকা আগামি ২দিনের মধ্যে ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন। একই সাথে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের জন্য ২সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোমিনে পিতা আনছার আলী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ রিপোর্ট লেখার সময় (রাত পৌনে ১০টায়) একাধিকবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোজাফফার উদ্দীনের মোবাইল ফোনে (০১৭১৮-৫৫১৬১৭) কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন- ‘আমি এখন অসুস্থ্য। দুদকের টিম আমার এখানে এসেছিলো এটা সত্য। ১০হাজার টাকা দিয়েছি।’
১
৫হাজার টাকা দেয়ার অঙ্গিকারের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- ‘না, ওই ১৫হাজার টাকা তো দেয়নি। সাতক্ষীরা থেকে বা কলারোয়া থেকে ওই টাকা দেয় না।’
কলারোয়ার শিক্ষার্থীকে চেক দিলেন প্রধানমন্ত্রী, হজম করলেন প্রধান শিক্ষক!!
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন