রাসায়নিক স্প্রে: সকালের কাচা আম বিকালে পাকা!
কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে গাছে গাছে ছড়িয়ে পড়ছে আমের সুবাস। আম অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল এবং এটি একটি অর্থকরী ও লাভজনক ফসল। সারাদেশের পুষ্টিমান সুস্বাদু ফল ও বাণিজ্যিক ভাবে কৃষির কাতারে পৌছে অর্থকরী সম্পদে পরিণত হয়েছে এ ফলটি। আম আমাদের জাতীয় ফল না হলেও ফলের রাজা হিসেবে অত্যন্ত সু-পরিচিত। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় নির্ধারিত সময়ের আগেই অপরিপক্ক আম গাছ থেকে তুলে নানারকম বিষাক্ত রাসায়নিক স্প্রে প্রয়োগ করে অসময়ে আম পাকিয়ে বাজারজাত করে অধিক মুনাফা লুফে নিচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের এসব পদ্ধতি যেমন বিপদজনক তেমনি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাক্তক ঝুঁকিপূর্ণ। ক্রেতা সাধারণ নিঃসংশয়ে বাহারী রঙের আম বাজার থেকে কিনে খাচ্ছে। এসব আম খেয়ে জনস্বাস্থ্য কি পরিমাণ হুমকিতে পড়ছে তা কখনো কেউ ভাবেনি। প্রাকৃতিকভাবে পাকার পরেই আম খেতে হয়। তা আমাদের দেশে এক জনও মানে ?
রোববার সরেজমিনে কলারোয়া উপজেলার বেলতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এ কাজে নিয়োগকৃত অভিজ্ঞ শ্রমিক দিয়ে বিষাক্ত রাসায়নিক ইথিপ্লাস এসএল-৪৮ অপরিপক্ক ল্যাঙড়া আম ভেঙ্গে স্প্রে করছেন। এসময় তার সাথে কথা হলে তারা জানালেন সব ব্যবসায়ীরা সময়ের আগেই অপরিপক্ক আম ভেঙ্গে বিভিন্ন রকম বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে পাকিয়ে বাজারজাত করছেন। এছাড়া ওই বাজারে ৫১টি পাইকারী আম ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। তারা দৈনিক বেলতলা বাজার থেকে ২০/২৫ ট্রাক আম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে থাকে। তাদের কাছে আম কোন কাচা নয়। সকালের কাচা আম বিকালে পাকা হয়। একই সাথে রাতে শত শত নছিমন যোগে ভারত থেকে আম আসছে। ভারতে প্রতিকেজি আম ৩০টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে কলারোয়া বাজারে বিষাক্ত রাসায়নিক ইথিপ্লাস এস.এল ৪৮ দিয়ে পাকানো আম ৭০ টাকায় বিক্রিয় হচ্ছে। এই আম খাবেন আর বিষ খাবেন একই কথা।
বাগুড়ি-বেলতলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহাজান কবির ও সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন বলেন, তাদের সমিতির মধ্যে ৫১টি আড়ৎ রয়েছে। বর্তমানে হিমসাগর আম-২৮শ, গোবিন্দ ভোগ-২৪শ’ গোপাল ভোগ-১৬শ, সরি খাস-১৬শ, গোলাম খাস-১৫শ’ আটির আম-৮/৯শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে গোবিন্দ ভোগ, সরি খাস, গোলাপ খাস আমে একটু রং চড়েছে। বাকী আমগুলো পাকতে আরো মাসখানিক সময় লাগবে। এই আড়ৎ গুলোতে ব্যবসায়ী অসময়ে আম পেড়ে একই কায়দার বিশাক্ত স্প্রে করে রঙ চড়িয়ে রাজধানী শহরের আড়তে প্রতিনিয়ত বিক্রয় করছে।
এদিকে একটি সুত্রে জানায় বিজিবি সদস্যদের সাথে নছিমন চুক্তিতে ভারত থেকে আম আনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন, পরিপক্ক হবার আগে আম পাড়া সম্পুর্ণ অন্যায়। শুধু আম নয়, যে কোন ফল অসময়ে পেড়ে রাসায়নিক প্রয়োগ বিশুদ্ধ খাদ্য আইন পরিপন্থী। এ সবের প্রমাণ পেলে জেল-জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসীন আলী বলেন, তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বিধায় আম বাজারের খোজ খোবর নিতে পারছেন না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন