শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

মাশরাফি যখন ‘কৃষক’

মাশরাফি মানেই রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। মাশরাফি মানেই অনুপ্রেরণা। মাশরাফি মানেই ভিন্ন কিছু। তার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ দলের একেকজন ব্যাটসম্যান ওঠে আগ্রাসী টাইগার, আর বোলার হয়ে ওঠে হিংস্র বাঘ। সুযোগ পেলেই শিকারে পরিণত করে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের।

ঠিক এ রকম অনুপ্রেরণা নিয়েই মাশরাফি এবার শুরু করেছেন কৃষি কাজ। আসুন জেনে নিই অনন্য মাশরাফির ‘কৃষক’ হওয়ার গল্প।

‘শহরে দম বন্ধ হয়ে আসে’ এমন আক্ষেপ প্রায় শোনা যায় মাশরাফির। তাই সুযোগ পেলেই তিনি ছুটে যোন নড়াইলের নিজ গ্রামে।

মাশরাফি নিজ গ্রামে আছেন আর মাঠে খেলছেন না এমন দৃশ্য খুব বিরল। গ্রামে গেলেই তিনি ভুলে যান শহুরে পোশাকের কথা। জার্সি, ট্রাউজার ছেড়ে লুঙ্গিতেই যেন আনন্দ পান বেশি। এখানেই শেষ নয়, বিশ্বের অন্যতম ওয়ানডে অধিনায়ক হয়ে যান একজন কৃষকও।

ক্রিকেট মাঠের ২২ গজে তিনি যেমন দেশের জন্য স্বপ্নের ফসল ফলান। তেমন গ্রামের পুকুরে মাছ, নিজের ক্ষেতের নান রকম সবজি চাষ সবই করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন বাবা গোলাম মুর্তজা। মূলত বাবার কাছ থেকেই তিনি উৎসাহ পেয়েছেন গ্রামের মাটিতে ও পুকুরে স্বপ্ন ফলানোর। আর তাতেই এখন শহরে বসে কিনে খেতে হয় না মাছ কিংবা সবজি। ৮ই নভেম্বর ২০০১ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলে তার অভিষেক। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন নড়াইল ‘এক্সপ্রেস’।

১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কত দেশ, কত শহর, অর্থ, বিত্ত-বৈভব পেয়েছেন মাশরাফি। পেয়েছেন গোটা ক্রিকেট বিশ্বের ভালোবাসা। কিন্তু তিনি ভোলেননি মাটির টান, গ্রাম বংলার সবুজের প্রতি ভালোবাসা। যে কারণে সবার জন্য তিনি সত্যিকারের ‘মাটির মানুষ’।

খুলনা বিভাগের নড়াইল শহরের অদূরে জুড়ালিয়া গ্রামে মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজা ১৬ বছর আগে কিনেছিলেন একটি পুকুর। তার বাবা সেই পুকুরেই মাছ চাষ শুরু করেন। তা দেখেই উৎসাহ পেয়ে মাশরাফি নিজেও কিনে ফেলেন আরো ৬টি পুকুর। বলতে গেলে মাশরাফির মাছ চাষের স্বপ্ন এখন ৭টি পুকুর জুড়ে।

বিশাল জায়গাজুড়ে পুকুরগুলোতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির নানা রকমের মাছ চাষ। কি নেই সেখানে! কই, শিং, মাগুর, পাবদা, পুঁটি, টেংরাও। আবার বড় মাছ রুই-কাতলার জন্য আলাদা আলাদা পুকুর আছে।

এখানেই শেষ নয়, পুকুর পাড়ের খালি জমিও বাদ রাখেননি মাশরাফি। সেখানে শুরু করেছেন সবজির চাষ। লাউ থেকে শুরু, পটোল, ডাটা, পেপে সবই আছে। আছে নানা রকম শাকও। যে কারণে শহরে থাকলেও সবজি ও মাছ কিনে খেতে হয় না মাশরাফির। নিজের গ্রাম থেকে এসব মাছ ও সবজি চলে আসে তার ঢাকার বাসায়। শহরে বসেই তিনি স্বাদ নেন তার প্রিয় গ্রামের মাটিতে ফলা ফসলের।

মাশরাফি ক্রিকেট জীবনে যতই বড় হয়েছেন তার স্বপ্নের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে তার গ্রাম নড়াইল ও নড়াইলের মানুষ। কিছুদিন আগেই তিনি চালু করেছেন নড়াইল ফাউন্ডেশন।

তবে সেখানে ক্রিকেট নয় প্রাধান্য পেয়েছে ফুটবল। সেখানেই তিনি গড়ে তুলছেন ফুটবলের জন্য প্রশিক্ষণের কেন্দ্র। করা হচ্ছে জিম, নেয়া হচ্ছে নামি-দামি কোচ। প্রতি ঈদেই তিনি ছুটে যান গ্রামে। সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন

মাশরাফি যখন ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন সেখানেও ফুটে উঠে গ্রামের কথা। নড়াইলে গেলেই নাকি তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। খোলা বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে খুঁজে পান অপার্থিব শান্তি!

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইম একাদশ, গদখালি ও পাথরঘাটা সেমিতে

কলারোয়ায় ৮দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ১ম, ২য় ও ৩য় খেলায় ফাইমবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মাধবকাটিকে হারালো স্বাগতিকরা

কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে সাতক্ষীরা সদরের মাধবকাটি ফুটবলবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

সাতক্ষীরায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখবিস্তারিত পড়ুন

  • বেনাপোলে সিরাজুল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করলেন এমপি আফিল
  • কলারোয়ার কাজীরহাটে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে বোয়ালিয়ার সাথে ড্র স্বাগতিকদের
  • কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে বাগঁআচড়ার সাথে ড্র স্বাগতিকদের
  • সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
  • পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তিতে গ্যারেজে কাজে করে পড়ালেখা কলারোয়ার মোশাররফের
  • কলারোয়ার খোরদোয় ফুটবল টুর্নামেন্টে সাতক্ষীরা ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন
  • এশিয়া কাপের শিরোপা জেতা হলো না টাইগার যুবাদের
  • কলারোয়ায় বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন
  • তালায় বঙ্গবন্ধু ফুটবল টূর্নামেন্টে সদর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন
  • সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে ফিংড়িকে হারিয়ে ধুলিহর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন
  • শার্শার ধলদায় ফুটবল টুর্নামেন্টে বারোপোতাকে হারিয়ে বাঁগআচড়ার জয়
  • ফুটবল স্টেডিয়াম হয়ে গেল ঘন জঙ্গল!