মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা…
স.ম ছিদ্দিকুর রহমান, পিতা মৃত ময়েজ উদ্দীন সরদার, গ্রাম খেদাপাড়া, উপজেলা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর। বর্তমানে বসবাসরত সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার তুলশীডাঙ্গা গ্রামে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মনিরামপুরের হানুয়ার, রাজগঞ্জ ঝাঁপা ও মল্লিকপুরের যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। খেদাপাড়ার পাশ্ববর্তী কোদলাপাড়ার রাজাকার ক্যাম্পে অন্যদের সংগে হামলা করেন। এরপর মনিরামপুর থেকে আসা পাকবাহিনী ও তাদের সহযোগি রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ে মারাত্মকভাবে শারীরিক নির্যাতিত হয়। অথচ ভারতের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হওয়ায় আজও তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভক্ত করতে পারেননি।
স.ম ছিদ্দিকুর রহমান গরীব দ্বীন মুজুর পরিবারের সন্তান বিধায় নিত্য অভাব অনাটনের সহিত সংগ্রাম করে যশোর এমএম কলেজ হতে বিএ পাশ করে ইংরেজী ২৬/৫/১৯৮৬ সালে গ্রামীন ব্যাংকে ব্যাংক কর্মী পদে যোগদান করেন। গ্রামীণ ব্যাংক তার পরিচিতি নম্বর ৪১৯৫।
চাকুরীতে যোগদানের পর স্ত্রী-পরিজন নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলেন তিনি। এরমধ্যে ১৯৮৫ সালে সাতক্ষীরার তালা শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় উচ্চমান সহকারী উচ্চতরমান পদে পদোন্নতি পাওয়ায় ঢাকার মীরপুর প্রধান কার্যালয়ে ৭ দিন প্রশিক্ষন শেষে তালার কর্মস্থলে ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘনায় গুরুতর আহত হন তিনি। মনিরামপুর হাসপাতালে ১ সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে কর্মস্থলে কাজ শুরু করেন। কয়েক মাস পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা শাখায় তার বদলী করেন। তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর কাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তৎকালীন জোনাল ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বরাবর কয়েকদিনের ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু তিনি ছুটি না দিয়ে ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে জোরপূর্বক তাকে অবসর পত্রে স্বাক্ষর করে নেন। ফলে তিনি চাকুরী হারান।
সেই থেকে তিনি আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ বছরের ব্যাংকের বেতন, বোনাস,পদোন্নতি ইনক্রিমেন্টসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে স্ত্রী-পরিজন নিয়ে আর্থিক অনটনে দুর্বিসহ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বসত ভিটা ছাড়া নিজস্ব কোন সম্পদ না থাকা ও শারিরীক অসুস্থতা থাকার কারণে দুটি কলেজ পড়–য়া ছেলে-মেয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন আছেন। বর্তমানে ছেলেটি ইজিবাইক চালিয়ে কোন রকম বেঁচে থাকার মতো সংসার চালাচ্ছে।
ইতোমধ্যে স.ম ছিদ্দিকুর রহমান গ্রামীন ব্যাংকের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর গ্রামীন ব্যাংকে মানবিক কারণে বিশেষ বিবেচনায় চাকুরীতে পূর্নবহালের আবেদন করেছেন। অথচ আজও পর্যন্ত তার কোন সদোত্তর পাননি তিনি। স.ম ছিাদ্দকুর রহমান গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ ও নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধু ভক্ত তাই দীর্ঘ ১৮টি বছরের দূর্বিসহ জীবন থেকে বাঁচতে যাতে আপনার নির্দেশে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ক্ষতিপূরণ স্বরুপ আর্থিক সুবিধা অথবা গ্রামীণ ব্যাংকে চাকুরীতে পূন: যোগদান পেয়ে বাদ বাকী জীবন স্ত্রী-পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন যাপন করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন