১১ সদস্য বিশিষ্ঠ বন্দর রক্ষা কমিটি গঠিত
বেনাপোল কাস্টমসের অবাধ ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে জনতা
বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসের অবাধ ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে এবার ফুসে উঠেছে জনতা। কতিপয় কাস্টমস সদস্যরা দেশের সর্ববৃহৎ আর্ন্তজার্তিক এই স্থল প্রবেশ দ্বারকে ধ্বংশ করতে ঘুষ বাণিজ্যের খেলায় মত্ত হওয়ায় বেনাপোলকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে গঠিত হয়েছে ১১ সদস্য বিশিষ্ঠ বন্দর রক্ষা কমিটি। এই বন্দর রক্ষা কমিটির মাধ্যমে শুক্রবার সকালে এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করা হয়। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ।
এ সময় অহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, বেনাপোল একটি আর্ন্তজাতিক বর্ডার। এখান থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারত- বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকে। সেসমস্ত যাত্রীরা আসার পরে এখানে কাস্টমস সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হয়রানি হয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে অবাধ ঘুষ দূর্ণীতির অভিযোগ আছে। শুধু তাই নয়, এখানকার একটি স্বার্থান্বেশী ক’চক্রী মহল বেনাপোল বন্দরকে অচল করার জন্য কাস্টমস সদস্যদের দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী ও আমদানি-রপ্তানি কারকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। যার কারণে এপথ থেকে, এই বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রী তথা আমদানি-রপ্তানিকারকরা। আমরা কাস্টমসের এই অণ্যায় ও ঘুষ দূণীতির বিরুদ্ধে বেনাপোলের সর্ব স্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদেরকে রুখতে হবে। যাতে, কোন রকম ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে এই বন্দরকে কেউ ধ্বংশ করতে না পারে। তার জন্য আমরা বন্দর রক্ষা কমিটি যা করার প্রয়োজন আমরা তাই করবো।
তিনি আরো বলেন, বেনাপোল বন্দরকে আধুনিকায়ন ও প্যাসেঞ্জারদের সেবার মান বৃদ্ধি করতে আমাদের প্রধাণ মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে শ্রম দিচ্ছেন। সেখানে এই বন্দরকে ধ্বংশ করতে একটি ক’চক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস সদস্যদের দিয়ে আমদানি রপ্তানি পণ্যের উপর ঘুষের মাত্রা বৃদ্ধিসহ পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতে অবাধ ঘুস বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এপথ থেকে একদিন ব্যবসায়ী ও পাসপোর্ট যাত্রীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে আমরা মনে করি। তিনি বলেন কাস্টমসের এই অবাধ ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বন্দর রক্ষা কমিটির আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে দুই পাসপোর্ট যাত্রী ভারত থেকে ফেরার পথে তাদের পথ গতিরোধ করে ঘুষ দাবি করেন কাস্টমস সদস্যরা। এ সময় তারা ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ওমর শরীফের কাছে অভিযোগ করেন। যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে লাঞ্চিত হয় ওসি ওমর শরীফ। পরে ইমিগেশন পুলিশের অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা প্রতিবাদ জানালে ফুসে ওঠেন কাস্টমস সদস্যরা। একপর্যায়ে দু’পক্ষে ঘন্টাব্যাপী হাতাহাতিসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। যার অবসান ঘটায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। কিন্তু থেমে নেই কাস্টম-পুলিশের দফায় দফায় প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ ও মানব বন্ধন। সাথে কাস্টমসকে ঘুষ না দেওয়া পাসপোর্ট যাত্রীরা প্রতিবাদের বহর নিয়ে কাস্টমসের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে মামলা করছে পোর্ট থানায়।
গত দু’দিনে তিন পাসপোর্ট যাত্রী ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তাদের নামে মামলা করেছেন। অভিযোগকারিরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার এসকে জাহিদ ফারুখ, গোপালগঞ্জ জেলার সাখাওয়াত হোসেন ও সৌরভ আলী খান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন