বাল্যবিবাহ মুক্ত জেলায়, থেমে নেই বাল্যবিবাহ!!
প্রথম বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয় সাতক্ষীরা জেলাকে। কিন্তু থেমে নেই জেলার কলারোয় উপলোয় বাল্যবিবাহ। প্রশাসনিকভাবে তদারকির অভাব এবং অবিভাবকদের অসচেতনাকে দায়ী করেছেন উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। গত একমাসে কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার কয়েকটি স্থানে একাধিক বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান। তারা আশংখা প্রকাশ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে উপজেলায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
জানা গেছে- চলতি মাসে কলারোয়া পৌরসভা এবং উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এদের সকলেই মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র, ছাত্রী এবং বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।
চলতি মাসের ১০ তারিখে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে হেলাতলা আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী দিপালি (১৫), এছাড়া চলতি মাসে দেয়াড়া ইউনিয়নের খোর্দ্দ সালেহা হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মালেশিয়া প্রবাসি সিরাজুলের কন্যা শান্তা (১৫), দেয়াড়া গ্রামের দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র মোস্তফা সরদারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (১৪), হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামের ফতেমা বেগম গার্লস হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আবু জাফরের কণ্যা হোসনে আরা (১২), পৌরসদরের গদখালি গ্রামের আলমের কন্যা আইভি (১৭)।
সাতক্ষীরা জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান জানান- বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন- সংবাদ পেয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর কলারোয়া উপজেলার শিবানন্দকাঠি গ্রামের দেছের আলীর কন্যা পানিকাউরিয়া গার্লস হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী কেয়া (১৪) কে বাল্যবিবাহের সময় আমরা উপস্থিত হয়ে বন্ধ করতে পেরেছিলাম।
তিনি আরো বলেন- বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নিরোধ আইনকে সামাজিকীকরণ সরকারের এই সেøাগানকে সামনে রেখে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ অ্যাকশান টিম কাজ করে যাচ্ছে। কমিটি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
তিনি আরো জানান- ১০ সদস্য বিশিষ্ঠ অ্যাকশান টিম জেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অনেক বাধা আছে তবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কঠোর হলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্ভব। এক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায় থেকে মানুষদের সচেতন করতে হবে, পরে এটা সামাজিক সচেতনতায় পরিনত হবে। এ জন্য তিনি, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ উপজেলার সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাল্যবিবাহ অ্যাকশান প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এডভোকেট শাহানাজ পারভীন জানান- বাল্যবিবাহের প্রধান কারণ হলো, ধর্মীয় গোড়ামি, মানসিকতা ও বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা। সামাজিক ভাবে আমরা সকলে মিলে কাজ করলে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ সম্ভব।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন