মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বরগুনা সদর উপজেলার ইউএনও গাজী তারিক সালমন। অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী এ কর্মকর্তার নানা সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্বাসী প্রগতিশীল এই কর্মকর্তাকে ষড়যন্ত্রমুলক মানহানি মামলা করে হেনস্থার জন্য ব্যথিত তার স্বজনেরা।

তারিকের মামা মঞ্জুরুল হক বলেন- তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় তাদের বাড়ি। দু’ভাই-বোনের বড় তারিখের বই পড়া ছিল নেশা। হাতের লেখাও ছিল অত্যন্ত সুন্দর। স্কুল ছাত্র থাকাকালিন সময়ে তিনি হাতে লিখে ম্যাগাজিন বের করতেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করে ২৮ তম বিসিএসের মাধ্যমে তিনি সহকারি সচিব হন।

যুদ্ধকালিন দেবহাটা থানা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মাবুদ জানান- তারিকের বাবা আব্দুর রহমান একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি দেবহাটায় যুদ্ধ করেছিলেন। পাকিস্থানী সেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তিনি আহতও হয়েছিলেন। তারই সন্তান তারিককে এভাবে হেনস্তায় ক্ষুব্ধ এই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ বলেন- তারিখের নানা ড. মুজিবর রহমান সাতক্ষীরার প্রথম এমবিবিএস ডাক্তার। তিনি ৬৫ সালে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন। প্রগতিশীল পরিবারের সন্তান তারিককে ষড়যন্ত্রমুলক মানহানি মামলায় ফাঁসানোয় মর্মাহত জেলা আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---