ফের জনসভার ঘোষণা বিএনপির
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফের জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জনসভার অনুমতি না পেয়ে আগামী ১৯ মার্চ ফের জনসভার ঘোষণা দেন তিনি। সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ফখরুল।
এসময় তিনি বলেন, আমরা সমাবেশের অনুমতির জন্য দরকারি কাগজপত্র পাঠাবো। আশাকরছি আমাদের অনুমতি দেয়া হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা জনসভা করার অনুমিত চেয়েছিলাম। এর আগেও আমাদের জনসভার অনুমতি দেয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে এবারও অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ১৫ দিন আগে অনুমিত চাওয়া হলেও শেষ সময়ে আমাদের জানানো হলো নিরাপত্তার কারণে সমাবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী সরকার অামাদের অনুমতি দিবে। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কর্মসূচি পালনে সহায়তা করবে। কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা থাকবে, কথা বলার অধিকার থাকবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার কারণ হিসেবে ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রতিবেদন আমাদের বিরুদ্ধে। তার মানে কি এখন গোয়েন্দারাই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নির্ধারণ করে দিবে?
তিনি বলেন, ওায়ার্কার্স পার্টি, চরমোনাই পীর, জাতীয় পার্টি সমাবেশের অনুমতি পায় কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো জনসভা করতে চাইলল নিরাপত্তার অজুহাতে অনুমতি দেয়া হয় না। কিন্তু আগে পুলিশের অনুমতির দরকার পড়তো না। তাদের অবগত করলেই চলতো। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এটি নিয়ম করে তুলেছে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, এটা নির্বাচনের বছর। আর তাই সরকারেই উচিত বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে সভা সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার দেয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা না করে করছে উল্টোটা। যখনই বিএনপি সভা সমাবেশ করতে চায় তখনই বাধা দেয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ১৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দীতে জনসভা ঘোষণার পাশাপাশি ফখরুল ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম, ২৪ মার্চ বরিশাল এবং ৩১ মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় শহরে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, চেয়ারপারানের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল খবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ এবং তাইফুল ইসলাম টিপু।
কারাগারে অসুস্থ হয়ে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলন মারা গেছেন।
কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পুলিশি নির্যাতনে গুরুতর আহতাবস্থায় চিকিৎসার অভাবে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলন অকালে মারা যান।
ফখরুল জানান, মিলনকে গত ৬ মার্চ গ্রেফতার করে পুলিশ। পর দিন আদালতে হাজির করে রমনা থানা পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে মিলনকে রমনা থানায় রিমান্ডে নেয়া হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়। টানা তিন দিন রিমান্ডে থাকার পর সোমবার ভোরে কারাগারে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয় বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার ধারাবাহিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন ও কারান্তরীণ করছে। এর মাধ্যমে তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ করে মৃত্যু পথযাত্রী করা হচ্ছে।
মিলনের মৃত্যুর বিষয়ে তার দুলাভাই রাশেদুল হক জানান, মিলনের বাড়ি শরীয়তপুরের সখিপুর থানার বাহাউদ্দিন মুন্সিকান্দি গ্রামে। গাজীপুরের টঙ্গি এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন মিলন।
তিনি জানান, ৬ মার্চ বিএনপির মানববন্ধন শেষ করে ফেরার সময় শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ডিবি পুলিশের তিন দিনের রিমান্ড শেষে রবিবার সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। তারা মিলনের মৃত্যুর বিচার দাবি করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন