ফেরারি জঙ্গিদের তথ্য পেল বাংলাদেশ পুলিশ
ব্লগার খুনের অভিযুক্তসহ তিন জঙ্গির খোঁজ নিতে বাংলাদেশ পুলিশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) সঙ্গে যোগাযোগ করল কলকাতা পুলিশ। তাদের কাছে ওই তিন জনের ছবি এবং তথ্য পাঠানো হয়েছে।
শনিবার কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসটিএফ) মুরলীধর শর্মা বলেন, তিন সন্দেহভাজনের খোঁজে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চলছে।
ওই তিন জনের মধ্যে তামিম ওরফে স্বপন বিশ্বাস এবং নয়ন গাজির ছবি শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করেছিল লালবাজার। গভীর রাতে উমর ফারুক ওরফে মহম্মদ আফতাব খান ওরফে মাহির ছবিও প্রকাশ করেছে। তামিম এবিটি-র অপারেশন স্কোয়াডের সদস্য। মাহি বিস্ফোরক-বিশেষজ্ঞ। নয়নের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি গোয়েন্দারা। পুরস্কারও ঘোষণা করেছে লালবাজার।
সম্প্রতি বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর তিন সদস্য সামশাদ মিয়াঁ ওরফে তানবির, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ছাড়াও বসিরহাটের বাসিন্দা মনোতোষ দে ওরফে জিয়ারুল গাজিকে গ্রেফতার করে লালবাজারের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
বাংলাদেশি তানবির ও রিয়াজকে চোরাপথে এ দেশে আনার জন্য শুক্রবার পাকড়াও করা হয় শাহাদাত হোসেন ওরফে বাবু নামে এক দালালকে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর বাবু জানিয়েছে, তানবির, রিয়াজ, তামিম, নয়ন ও আফতাবদের বাংলাদেশ থেকে বসিরহাটের গাছা গ্রামে এনে লুকিয়ে রেখেছিল সে।
বাবুকে জেরা করে জানা যায়, তানবিরের সঙ্গে তামিমও এ দেশে ঢুকেছিল। তানবির জানায়, বসিরহাট থেকে হাওড়া হয়ে সে এবং তামিম প্রথমে হায়দরাবাদে যায়। পরে সংগঠনের নির্দেশে তনবির পাটনা চলে যায়। পাটনাতেই মাহির সঙ্গে তার আলাপ হয়। গোয়েন্দারা জানান, পাটনা থেকে তানবির ও মাহি কলকাতায় আসে।
ধৃত রিয়াজুল পুলিশকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে সে তানবিরের সঙ্গে দেখা করে। মফস্বল এলাকায় তারা বাড়ি ভাড়া খুঁজছিল। বসিরহাটের অস্ত্র ব্যবসায়ী মনোতোষের সঙ্গেও তাদের আলাপ হয়। এর পরেই গত মঙ্গলবার এসটিএফ তাদের গ্রেফতার করে। গোয়েন্দারা জানান, তামিম এবং নয়ন কলকাতায় আলাদা ভাবে এলেও গত ১-৩ অক্টোবর হাওড়ার হোটেলে তাদের দেখা গিয়েছে।
বাবু পুলিশকে জানায়, সে হাওড়ায় তামিমকে দেখেছিল। এর পরেই হাওড়ার বিভিন্ন হোটেলে খোঁজ শুরু করে। সেখানেই জানা যায়, হাওড়ায় তামিমের সঙ্গে নয়ন ও মাহিও ছিল। ধৃত তানবির ও শাহাদাতকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত অক্টোবরে হাওড়া স্টেশনের অদূরেই তিন সন্দেহভাজন তিন দিনের জন্য দু’টি হোটেল ভাড়া করেছিল। এসটিএফের গোয়েন্দারা হাওড়ার ওই দুই হোটেলে গিয়ে যাবতীয় রেকর্ড, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন।
দুই হোটেলের কর্মীরা এসটিএফ-এর গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তিন সন্দেহভাজন হোটেল থেকে সকালে বেরিয়ে অনেক রাতে ফিরতেন। ওই এলাকার অন্যান্য হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্র : আনন্দবাজার
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন