বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

‘দুই নেত্রীকে মাইনাস করে রাষ্ট্রপতি হতে চেয়েছিলেন মইন উ আহমেদ’

২০০৭ সালের এক এগারোর ঘটনা তদন্তের জন্য সুপ্রীমকোর্টের একজন সাবেক বিচারপতিকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রচিত ‘জরুরি আইনের সরকারের দুই বছর (২০০৭-২০০৮)’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আয়োজন করে ড. খন্দাকার মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশন লিমিটেড।

খন্দকার মারুফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতান সর্দার মোহাম্মদ নূরুজ্জামান প্রমুখ।

ওয়ান-ইলেভেনের স্মৃতিচারণ করে মওদুদ বলেন, দুই নেত্রীকে মাইনাস করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হতে চেয়েছিলেন ওয়ান-ইলেভেন সময়ের সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। একদিন আমাকে রাত ২টায় চোখ বেঁধে নিয়ে বলা হয়, এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ চাই। আমি বললাম, এটা অসম্ভব। তখন তারা বললেন, দুই নেত্রীকে দেশ থেকে বের করে দেব। মাইনাস করব। দেশে শূন্যতা সৃষ্টি হলেই তখন আমাদের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ মইন উ আহমেদ হবেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু আমি তাদের এ প্রস্তাবে রাজি হইনি। কার্যত ওয়ান-ইলেভেন ছিল দেশকে ব্যর্থ করার এক গভীর ষড়যন্ত্র। মইন শুধু রাজনীতিবিদদের সঙ্গেই নন, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ওই সময়ের কর্মকাণ্ড একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত করতে কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এটা করা হবে এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।

মওদুদ বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের পরিকল্পনাই ছিল ভিন্ন। এজন্য তারা নির্বাচনের দিকে না গিয়ে মইনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য একটি রাজনৈতিক সংস্কার করতে চায়। একদিকে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে অভিযান অন্যদিকে তাদের ছিল দেশের নেতৃত্ব নেওয়ার খায়েশ। দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে গেছে সেনাসমর্থিত ওই ওয়ান-ইলেভেনের সরকার। জরুরি আইনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, সে সরকার ছিল অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। তিনি বলেন, ড. ফখরুদ্দীনের নিয়োগটাই ছিল অবৈধ। সুতরাং পুরো উপদেষ্টা পরিষদও ছিল অবৈধ। কারণ তাকে নিয়োগ করতে হলে রাষ্ট্রপতি সেই সংবিধান অনুযায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি খুঁজে সেটা না পাওয়া গেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একজন ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা করার কথা। তারা সেটা করেননি। সেজন্য ফখরুদ্দীনের নিয়োগটাই ছিল অসাংবিধানিক। আর ৯০ দিন যদি তারা বাড়িয়ে দিতেন তাও একটি কথা ছিল। কিন্তু সেটা তারা করেননি। তাদের ছিল অন্য এজেন্ডা।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি সর্বনাশ করে গেছে সেই ওয়ান-ইলেভেনের সেনাসমর্থিত সরকার। এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যে প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করেনি। সংবিধান অনুযায়ী তাদের এজেন্ডা ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে তারা ফিরে যাবেন। ফখরুদ্দীনের বেআইনি নিয়োগের পরও আমরা ধরে নিই, তারা যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন তাহলে সব ঠিক হয়ে যেত। জরুরি আইন ঘোষণা করার দুই সপ্তাহের মাথায় সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনো কারণই ছিল না জরুরি আইনের। বহিঃআক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। আরেকটি অর্থনীতি যদি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু জরুরি আইন ঘোষণা করা হয় একটি উদ্দেশ্যে, তা হলো, তারা বলেছিলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। কিন্তু সেনানিবাসের অন্য পরিকল্পনা ছিল। আমাদের চোখ বেঁধে নিয়ে অনেক কিছুই করেছিল। অনেককে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল দায়িত্ব হলো জনগণের আমানত রক্ষা করা। সেই ব্যাংক থেকে তালিকা দেওয়া হলো রাজনীতিবিদদের সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ কর। রাজস্ব বোর্ডের দায়িত্ব হলো কর আদায় করা। সেখানে তারা রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা শুরু করল। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হয় রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে। এর ফলে বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তারা রাজনীতি বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এক এগারোর সরকারেরই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু নয়। আজকে বিচার বিভাগের ওপর যে নিয়ন্ত্রণ তার ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সময়ই শুরু হয়। তারা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করে। আদালতে মিলিটারি লোকেরা বসে থাকতো। তারা মনিটরিং করতো।

মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে দেশের মানুষ গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কেননা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। সেদিন ৫ কোটি লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালানো মোদি’র তা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডবিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রদলের কাউন্সিল: ৮ভোটে হেরে গেলেন কেশবপুরের সেই শ্রাবণ

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোটে হেরে গেছেনবিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রদলের নতুন সভাপতি খোকন, সম্পাদক শ্যামল

কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল।বিস্তারিত পড়ুন

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • শোভন-রাব্বানী বাদ, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে জয় ও লেখক
  • শোভন-রাব্বানীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
  • বিশ্বের শীর্ষ নারী নেতৃত্বের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • আগুন নিয়ে খেলতে বারণ করলেন শামীম ওসমান
  • ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হবে : ওবায়দুল কাদের
  • মইনুল হোসেন ফের কারাগারে