ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স এওয়ার্ডস-২০১৯’ গ্রহণ করেই তা দেশবাসীর উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন।
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে এক অনুষ্ঠানে ড. কালাম স্মৃতি আন্তর্জাতিক এডভাইজরি কমিটির পক্ষ থেকে ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান উপদেষ্টা টি পি শ্রীনিবাসন ও সংস্থাটির চেয়ারপারসন দীনা দাস শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার গ্রহণের সময় দেশের জনগণের প্রতি কর্তব্য পালনে তাঁর দায়বদ্ধতার প্রতি প্রশংসার নিদর্শন হিসেবে এই পুরস্কার গ্রহণ করছেন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতি এই কর্তব্য পালনই আমার জীবনের মূলমন্ত্র, যেমনটি ছিল আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। আমি এই পুরস্কার দেশের জনগণের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পি, বুদ্ধিজীবীসহ ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিদেশী কূটনিতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাঁর অসামান্য অবদান, জনকল্যাণ বিশেষত নারী ও শিশুদের কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার জন্য শেখ হাসিনাকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানী তামিল নাড়–র সন্তান এপিজে আব্দুল কালামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তামিল নাড়–ু সরকার এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।
২০১৫ সালের ২৭ জুলাই এপিজে আব্দুল কালামের মৃত্যুর পর সে বছরই ৩১ জুলাই তামিল নাড়ুর সে সময়কার মুখ্যমন্ত্রী জয় ললিতা ভারতরত্ন এপিজে আব্দুল কালামের নামে এই পুরস্কার চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় বিশেষ পুলিশ ইউনিট গঠনে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৃথক বিশেষ পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সোমবার সকালে গণভবনে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি)’র অগ্রগতির ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের সময় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ‘ঢাকা মহানগরী ও এর আশপাশের এলাকায় এমআরটি লাইন নির্মাণের জন্য টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০৩০’ এর বাস্তবায়নের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তিনি ৬ লাইন এমআরটি’র পাশাপাশি ১, ২, ৩, ৪, ৫ লাইন এমআরটি’র অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
দেশে এই প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)’র সহযোগিতায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই মেগা প্রকল্পের দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু নির্দেশনা দেন।
সভায় জানানো হয়, আগস্ট নাগাদ ৬ লাইন প্রকল্পটির (উত্তরা-আগারগাঁও-মতিঝিল) ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়াও সভায়, আরো জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ৬ লাইনের এমআরটি’র উত্তরা আগারগাঁও অংশের প্রায় ৪৬ শতাংশ কাজ এবং আগারগাঁও-মতিঝিলের ২৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান (এমপি), প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, পিএমও সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সেলের সিইও ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. আসাদুজ্জামন মিয়া এবং জাইকার প্রতিনিধিগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
২০.১০ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থার্ড ফেস থেকে শুরু হয়ে পল্লবীর মধ্য দিয়ে রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ এবং ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তোপখানা রোড ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিস্তৃত।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এমআরটি-৬ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে জাইকা ১৬ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা দিচ্ছে। প্রকল্পের বাকি টাকা বাংলাদেশে সরকার যোগান দেবে।
দ্রুতগামী মেট্রোরেলটি উত্তরা থেকে মিরপুর ও ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করবে। এতে ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে। প্রতি চার মিনিট পর পর এক এক করে প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন থামবে।
এই প্রকল্পের ১৬টি স্টেশন হলো :
উত্তর উত্তরা, মধ্য ও দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় যাদুঘর, দোয়েল চত্বর, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমআরটি-৬ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরবাসী তাদের অতিকাক্সিক্ষত আরামদায়ক পরিবহণে ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তারা বর্ধিত রাজধানীর যানজটের সড়কগুলোর পরিবহণে দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর যাত্রা থেকে নিষ্কৃতি পাবেন।
প্রকল্পটি শুরু হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাত্র ৩৮ মিনিটে একজন যাত্রী উত্তরা পৌঁছতে পারবেন।
সূত্র : বাসস
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন