ট্রাস্টের আওতায় আসছে কমিউনিটি ক্লিনিক
প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ট্রাস্টের আওতায় এনে সেগুলোর সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় একটি নতুন আইনের খসড়ায় সায় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন- ২০১৮’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, নীতিগত অনুমোদনের জন্য আইনটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলেও বিস্তারিত আলোচনার পর কিছু সংশোধন সাপেক্ষে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
“এখন একটি প্রকল্পের আওতায় (কমিউনিটি) ক্লিনিকগুলো চলছে, এই আইন হলে ক্লিনিকগুলো ট্রাস্টের আওতায় চলে আসবে।”
দেশে বর্তমানে ১৩ হাজার ৮৬১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এ ধরনের আরও এক হাজার ২৯টি ক্লিনিক বাস্তবায়নে সরকারের পরিকল্পনা আছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসব ক্লিনিক থেকে এ পর্যন্ত ৬২ কোটি ৫৭ লাখ বার মানুষকে সেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জিয়াউল।
তিনি বলেন, “সারাদেশেই কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবায় অত্যন্ত সহযোগী ভূমিকা পালন করে আসছে, স্বাস্থ্যসেবায় যে অগ্রগতি তা কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্যই হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইনের খসড়া করা হয়েছে বলে জানান সচিব।
“এই ট্রাস্টের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ট্রাস্টের তহবিল ব্যবহার করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া।”
এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সঙ্গে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি কার্যকর রেফারেল প্রতিষ্ঠা করাও ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য বলে জানান জিয়াউল।
নতুন ব্যবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের পদমর্যাদা কী হবে, সেই প্রশ্নে সচিব বলেন, আইনে কর্মীদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগ, গ্রাচুইটি এবং অবসর ভাতার সুবিধা রাখা হয়েছে।
“একটি প্রবিধানের মাধ্যমে এগুলো নিশ্চিত করা হবে, তারা ট্রাস্টের আওতায় থাকবে। সরকারের যে সুবিধাগুলো আছে সেগুলো সবই তারা পাবেন।”
টাস্টে যে কেউ অনুদান দিতে পারবেন জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, সরকারি থোক বরাদ্দ থাকবে, অনুদান থাকবে। পাশাপাশি বেসরকারিভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন বা ব্যক্তি বিশেষ এখানে দান বা অনুদান করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন জানিয়ে সচিব বলেন, এছাড়া একটি বোর্ড থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত খ্যাতিমান ব্যক্তি হবেন এই বোর্ডের প্রধান।
“বোর্ডে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকবেন, তার পদমর্যাদা হবে সরকারের অতিরিক্ত সচিব বা সমমর্যাদার। বোর্ডের সদস্য হবে ১৪ জন।”
এই বোর্ডের সঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগোযোগ থাকবে বলেও জানান সচিব জিয়াউল।
তিনি বলেন, কোনো রোগীর চিকিৎসা দিতে ক্লিনিক অসমর্থ হলে বা রোগ জটিল হলে ‘রেফারেল সিস্টেম’ হিসেবে তাকে ক্রমান্বয়ে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন