জয়নগরে তথ্য গোপন ও ভুয়া সনদে চাকরি করার অভিযোগ
কলারোয়া উপজেলার ১নং জয়নগর ইউনিয়নে তথ্য গোপন ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে।
ওই নারীর নাম মিনারা অক্তার রিক্তা। তার স্বামীর নাম ইমামুর রহমান। বাড়ী উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সিংহলাল গ্রামে।
জানা গেছে, উত্তর হরিণ সিংহ’র কলেজ রোডের এস.কে.এস নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কলারোয়া উপজেলাসহ সাতক্ষীরা জেলায় ১৭টি ইউনিয়নে ম্যাক্স ওয়াশ-২ প্রজেক্ট বাস্তবায়নে কাজ করছে। গ্রাম পর্যায়ে অবস্থান করে ওই প্রজেক্টের আওতায় ওয়াশ,যৌন, প্রজনন ও স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে এস.কে.এস সংস্থা কাজ করার লক্ষ্যে কর্ম এলাকার প্রতি ইউনিয়নে প্রথম দফায় গত ফেব্রুয়ারী মাসে শুধু মাত্র নারী কর্মী নিয়োগ করেছে। ম্যাক্স ফাউন্ডেশন নামের একটি দাতা সংস্থা ওই প্রজেক্টে অর্থায়ন করে। এস.কে.এস সংস্থায় ওই প্রজেক্টে চাকুরী নেওয়ার জন্য ওই নারী তথ্য গোপন করে ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আবেদন দাখিল করে সংশ্লিষ্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার বরাবর। সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাচাই না করে চাকুরীও দিয়েছে ওই নারীকে। মিনারার স্বামী জয়নগর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এবং তাঁর শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আতিয়ার রহমান।
খোজ নিতে গিয়ে এস.কে.এস সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার দুরুল হুদা মন্ডল জানান- ম্যাক্স ওয়াশ-২ প্রজেক্টের নারী কর্মী মিনারা আক্তার রিক্তার দাখিলকৃত কাগজ পত্রে জানা যায় ,জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সে। জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া নাগরিকত্ব সনদে মিনারা আক্তার রিক্তার স্থায়ী ঠিকানা সেটাই।
তবে জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর জয়দেব সাহা বললেন ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন- মিনারা খাতুন স্বামী ইমামুর রহমান নামে তার ওয়ার্ডে কোন নারী বসবাস করেন না।
জয়নগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর ক্ষেত্রপাড়ার মেম্বর রিজাউল বিশ্বাস জানান- আমি শুনেছি তথ্য গোপন করে ভুয়া নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করে ভিন্ন ইউনিয়নের এক নারী এস.কে.এস’র ম্যাক্স-এ চাকুরী করেন। নিযোগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কর্মীকে কর্ম এলাকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়েনর স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
তিনি আরও জানান- কিছুদিন আগে জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি বাজারে ওই সংস্থার প্রজেক্টের ট্রেনিং চলাকালিন আমি বিষয়টি প্রজেক্ট ম্যানেজার দুরুল হুদা মন্ডলকে জানাই। প্রজেক্ট ম্যানেজার আমাকে বলেন, বিষয়টি আমি দেখবো। অনিয়মে কোন কর্মী নিয়োগ হলে সেই কর্মীর নিয়োগ বাতিল করে কর্মএলাকা থেকে কর্মী নেওয়া হবে। কিন্তু সে কথা কোন আমলে আসেনি দীর্ঘ ছয় মাসেও।
এবিষয় অভিযুক্ত নারী কর্মী মিনারা আক্তার রিক্তা বলেন- তিনি জালালাবাদ ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। চাকুরীর জন্য তার স্বামী কোন জায়গা থেকে নাগরিকত্ব সংগ্রহ করেছেন তা তার জানা নেই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন