মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসবে আওয়ামী লীগ: কাদের

বিএনপির আহ্বান এতদিন নাকচ করে এলেও কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত তাদের নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি হয়েছে আওয়ামী লীগ।

সংলাপের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চিঠি পাওয়ার পরদিন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বক্ষণে কোনো চাপের মুখে এই সংলাপ হচ্ছে না এবং তারা কোনো পূর্বশর্তও দিচ্ছেন না। তফসিলের আগেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন তারা।

কাদের বলেন, “আমরা কারও চাপের মুখে নতি স্বীকার করিনি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কাউকে সংলাপে ডাকিনি। তারা সংলাপ করতে চান, ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সংলাপের দরজা সবার জন্য খোলা। আমরা ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে সম্মত।”

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী কাদের বলেন, “শেখ হাসিনার দরজা কারো জন্য বন্ধ হয় নাই, বন্ধ থাকে না। এর মধ্য দিয়ে আপনারা বুঝতে পারছেন যে আমরা আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে সম্মত। আমরা সবাই এ ব্যাপারে নেত্রীর সঙ্গে একমত যে আমরা ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসব।”

সংলাপের সময়, স্থান, পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অাগেই সংলাপ করা হবে।

সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা.দীপু মণি, দফতর সম্পাদক ড. অাবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক অাহমদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাসিম, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ২০১৪ সালের ওই নির্বাচনের পর থেকেই সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু তার কোনো প্রয়োজন দেখছিল না আওয়ামী লীগ।

দশম সংসদ নির্বাচনের আগে আলোচনার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে শেখ হাসিনার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কথাও বলে আসছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়া এবং গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমান দোষি সাব্যস্ত হওয়ার পর ‘খুনিদের’ সঙ্গে সংলাপে না বসার কথা আরও জোর গলায় বলছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

এদিকে আওয়ামী লীগকে নত করতে ব্যর্থ বিএনপি গত ১৩ অক্টোবর গণফোরাম সভাপতি কামালের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে ৭ দফা দাবি তুলে তা নিয়ে নতুন করে সংলাপের আহ্বান জানায়।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি রয়েছে, যা বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সম্ভবপর নয় বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন।

এর মধ্যে রোববার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে লেখা কামাল হোসেনের চিঠি পৌঁছে দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

সেই চিঠি পাওয়ার পর সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর শেখ হাসিনা আলোচনা করেন বলে কাদের জানান।

তিনি বলেন, “আজকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নেত্রী আমাদের নিয়ে অনির্ধারিত একটি বৈঠক করেন। উপস্থিত দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সবার মতামত জানতে চান। অনির্ধারিত এ আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দরজা কারো জন্য বন্ধ নয়।”

কাদের বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। খুব শিগগিরই আমরা সময়, স্থান ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো তাদের জানিয়ে দেব। এটা অনতিবিলম্বে জানিয়ে দেব।”

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সংলাপ তফসিলের আগেই হবে।”

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা মানা হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। আলোচনা যখন হবে, আলোচনার রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করেন।”

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে ‘জরুরি’ এই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই কাদের বলেন, “আমি এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সমগ্র দেশবাসীর জন্য প্লিজেন্ট সারপ্রাইজ দেব, যা সারাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দেবে।”

সংলাপের চিঠিতে আওয়ামী লীগের এক সময়ের নেতা কামাল লিখেছিলেন, “একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সে লক্ষ্যে আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।”

তিনি চিঠি শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলার মাধ্যমে। শেষে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বর্তমান রাজনৈতিক ‘সঙ্কটের’ জন্য নির্দিষ্ট কাউকে দায়ী না করে কামাল লেখেন, “নেতিবাচক রুগ্ন রাজনীতি কিভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তাও আমাদের অজানা নয়।”

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী