চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাতক্ষীরাবাসীর প্রিয় শিক্ষক আব্দল হামিদ
সাতক্ষীরাবাসীর প্রিয় বিজ্ঞান স্যার আব্দুল হামিদ চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গার পারিবারিক কবর স্থানে।
শনিবার সকাল ১০টায় ঝাউডাঙ্গা সিনিয়র ফজিল মাদ্রাসা ময়দানে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযা নামাজের আগে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মরহুমের শ্যালক তালা-কলারোয়ার সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, খুয়েট এর ম্যাকানিক্যাল বিভাগের প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম কাদের, কলারোয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী, কলারোয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব প্রফেসর আবু নসর, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, কাকডাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিউদ্দীন আনসারী, ঝাউডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী, ঝাউডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাও. আব্দুল মজিদ, অধ্যক্ষ মাও. তোফাইল হোসাইন, নবমুসলীম আব্দুর রহমান, মরহুমের বড় ছেলে বিশিষ্ট সফট্ওয়ার ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন, ছোট ছেলে আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।
জানাযা নামাজে ও পাশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারী বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ দাস, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাসদের জেলা সভাপতি নিত্যানন্দ সরকার, জেলা গণফোরামের সভাপতি মামুনুর রশিদ, ঝাউডাঙ্গা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রমজান আলী বিশ্বাস, সাবক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন- ‘আমার বড় ভগ্নিপতি আবুল হামিদ একজন আদর্শ, একটা মাডেল, যদিও তিনি ইসলামী আন্দোলনরে সাথে জড়িত ছিলেন কিন্তুু কখনো ভোটে অংশগ্রহন নিজেকে অপমানিত করনেনি। তিনি ছিলেন এলেম শিক্ষাই শিক্ষিত, পরহেজগার, আবার অধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত একজন বিএসসি শিক্ষক।’
আবদুল হামিদ স্যার কলারোয়া উপজেলার হামিদপুর মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাশ করে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য নতুন করে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হন। বিজ্ঞান বিভাগে এস এস সি, এইচ এস সি ও বি এস সি পাশ করে ১৯৬৮ সালে সাতক্ষীরা বালক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। ১৯৮০ তে বালিকা বিদ্যালয়ে বদলী হন। পরে এই দুই বিদ্যালয়ের সিনিয়র বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন অতিবাহিত করেন। শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনোষ্ক করে গড়ে তোলা এবং বিজ্ঞান মেলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে তিনি সকলের প্রিয় শিক্ষক হয়ে ওঠেন। তিনি ১৯৯৯ সালে অবসরের পর তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝাউডাঙ্গাতে বসবাস করছিলেন।
তিনি শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র, ৫ কন্যা ও অসংখ্য গুনগ্রহী রেখে গেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন