বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় সারাদেশের সিএইচসিপিদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি

‘চাকরি জাতীয়করণ’র দাবিতে রাজধানী ঢাকায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সারাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)রা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত ২৭ জানুয়ারী শনিবার থেকে শুরু হয়ে ওই কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। কর্মসূচিতে হাজার হাজার সিএইচসিপিরা তাদের এপ্রোন (সরকার নির্ধারিত পোশাক) পড়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন চাকরি রাজস্বখাতে নেয়ার প্রত্যাশায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সেই ঘোষনা চাচ্ছেন তারা।

বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এসোসিয়েশনের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এর আগে একই দাবিতে গত সপ্তাহজুড়ে সিএইচসিপিরা তাদের নিজেদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেন তারা। তবু তাদের দাবির প্রেক্ষাপটে কোন সাড়া না আসায় দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে রাজধানীতে সিএইচসিপিরা অবস্থান নিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রীর একক প্রচেষ্টায় স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে সিএইচসিপিরা কাজ করে যাচ্ছেন। বারবার এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ক্লিনিকে একজন সিএইচসিপি জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ, ঔষধ প্রদান, শিশু ও মাতৃসেবা, অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক দেখভালসহ সকল কাজ করতে হচ্ছে। সরকার প্রদত্ত ঔষধ কয়েক মাস পরপর অনির্ধারিতভাবে দেয়া হলেও সংশ্লিষ্ট এরিয়ার জনগণের জন্য তা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং সেই কারণে সাধারণ জনগণের কাছে প্রতিনিয়ত হেনস্তা হতে হয় সিএইচসিপিদের। তারপরেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে গড়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত আছেন তারা।

সিএইচসিপিদের অবস্থান কর্মসূচির একাংশ।

মহামান্য উচ্চ আদালত থেকে তাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানন্তরের রায়ও হয়েছে। তাই সিএইচসিপিদের চাকুরী জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা না আসা পর্যন্ত দাবি আদায়ের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

সিএইচসিপিরা স্পষ্ট ঘোষনা দেন- ‘চাকরী সরকারিকরণ/জাতীয়করণের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ওই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য যে, কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোবাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের চাকরি প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। দেশের বিভিন্ন স্থানের ১০ ব্যক্তির করা রিট আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। গত বছরের ২২ মার্চ হাইকোর্ট রায় দিলেও এ নির্দেশনা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়।

বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনকারী ১০ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ রায় দিয়েছেন বলে জানান রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকে ২০১১ সাল থেকে দায়িত্ব পালনরত সাড়ে ১৩ হাজার সিএইচসিপি-কে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর না করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসুচি (এইচপিএনএসপি) প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়। তাদের আগামি ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রকল্পে স্থানান্তর করে গত ১৫ মে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
কিন্তু তাদের নতুন প্রকল্পে স্থানন্তেরর আগেই রাজস্ব খাতে স্থানন্তরের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সাতক্ষীরার কলারোয়ার সিএইচসিপিদের খন্ড চিত্র।

মো. সহিদুল ইসলাম, কামাল সরকার, জাহিদুল ইসলামসহ ১০ জনের করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ২২ মার্চ এক রায়ে রিট আবেদনকারীদের (১০ জন) চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।

সরকার ১৯৯৬ সালে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেন। এর আওতায় সারাদেশে ১০ হাজার ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের কারণে এ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি) নামে নতুন প্রকল্প নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় আগের ১০ হাজার ক্লিনিক সংস্কার করে এবং নতুন আরো সাড়ে তিন হাজার ক্লিনিক স্থাপন করে। সব মিলে সাড়ে তের হাজার ক্লিনিক স্থাপন করা হয়।
২০১১ সালে এসব ক্লিনিকের প্রত্যেকটিতে একজন করে সিএইচসিপি নিয়োগ দেয়া হয়।

২০১৪ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য প্রকল্পে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে এর মেয়াদ আরো দুই বছর অর্থাৎ ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

কিন্তু এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সুপারিশ করে তা বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়।

২০১৬ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাড়ে ১৩ হাজার সিএইচসিপি-কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসুচি (এইচপিএনএসপি) প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।

সিএইচসিপিদের অবস্থান কর্মসূচির একাংশ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী