কলারোয়া খোরদো বাজারে জমে উঠেছে খেঁজুরের গুড় ও পাটালির হাট
শীত মৌসুম আসলেই দেখা যায় খেঁজুর গাছের গাছিদের ব্যস্ততার বিভিন্ন দৃশ্য। খেঁজুর গাছ কাটা থেকে শুরু করে, গাছিরা রস আহরণ করে সেই রস থেকে গুড় তৈরি করা পর্যন্ত বেশ ব্যস্ত সময় পার করে থাকে গ্রামীন জনপদের মানুষেরা।
গ্রামাঞ্চলে খেঁজুর গাছিরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি উপার্জনের জন্য বাজারে উঠায় আহরণ করা রস থেকে আগুনে জ্বালিয়ে তৈরি খেঁজুরের গুড়।
আর সেই খেঁজুরের গুড় বা পাটালি বেচাকেনার অন্যতম হাট তৈরি হয়েছে কলারোয়ার দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো বাজারে। শুধু তাই নয়, এই হাট থেকে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে খেঁজুর গুড় বা পাটালি চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরেও৷
খোরদো বাজারের খোরদো-চাকলা ব্রিজ সংলগ্ন গুড়ের হাট সপ্তাহে দু’দিন বৃহস্পতিবার ও রবিবার বসে। কপোতাক্ষের কূল ঘেষে খোরদো বাজার ব্রিজের মুখ সংলগ্ন রাস্তার ধারে এ হাট সত্যি চোখে পড়ার মতো৷ শীতের মৌসুমে কলারোয়া উপজেলা অন্যতম প্রধান এ খেঁজুর গুড়ের হাট বেশ জমজমাট হয়ে থাকে অনেকে জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- কলারোয়ার খেঁজুরের রসের রয়েছে আলাদা নাম জস৷ সেই খেঁজুরের রস জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় গুড় ও পাটালি৷
উপজেলার খোরদো বাজারে খেঁজুর গুড় ও পাটালির হাটে গুড় ও পাটালি বিক্রি করতে আসেন পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার মনিরামপুর ও কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৫০/৬০ গ্রামের খেঁজুর গাছের গাছিরা৷
গুড় বিক্রি করতে আসা দেয়াড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন নামের খেঁজুর গাছি কলারোয়া নিউজকে জানান- এখনতো আগের মতো গাছ নেই৷ বিলুপ্তির পথে খেঁজুর গাছ। তাই রস এখন কম সংগ্রহ করা হয়৷ যা সংগ্রহ করতে পারি তাতে খরচটা কোন রকম বেঁচে থাকে৷ তারপর বর্তমান বাজারে এক ভাড় গুড়ের দামও কম পাওয়া যায়৷ যেটা কষ্ট এবং জ্বালানি খরচ হিসেবে তুলনামূলকভাবে কম।
একই ভাবে মনিরামপুরের চাকলা গ্রামের আকবর আলী জানান- ব্যাপারিরা গুড়ের দাম কম বলে৷ যে দাম বলে, সে দামে বিক্রয় করলে লাভ তো দূরে থাক, কষ্টের মুল্যও হবে না৷
এদিকে, ব্যাপারিরা এ কথা মানতে নারাজ। এমন মন্তব্য ঠিক না দাবি করেন স্থানীয় ও অন্য স্থান থেকে আসা ব্যাপারিরা। তারা বলছেন- গত বারের চেয়ে এ বছর গুড়ের দাম অনেক বেশি৷
বাগআচড়া থেকে আসা গুড়ের ব্যাপারি হুমায়ুন কবির জানান- এবছর গুড়ের দাম বেশি৷ গত বছর যে গুড়ের ভাড় ছিলো ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা, এ বছর সেই গুড়ের ভাড় সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ এমনকি ৬শ’ টাকা ক্রয় করতে হচ্ছে৷
এ গুড়ের হাট থেকে ব্যাপারিরা ভাড় ভর্তি গুড় ক্রয় করে নিজ নিজ এলাকায় নিয়ে চলে যান এবং প্লাস্টিকের ড্রামে ভর্তি করে বা বিভিন্ন উপায়ে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সরবরাহ করে থাকেন৷
বিশেষ করে দেশের উত্তরের জেলা গুলোর পাশাপাশি বরিশাল, পটুয়াখালী ও অন্যান্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় বললেন হুমায়ুন কবির এবং স্থানীয় একাধিক গুড় ব্যবসায়ীরা৷
শুধু হুমায়ুন কবির নয়, বরিশাল জেলা থেকে ২/৩ জন ও কলারোয়ার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা একদল গুড়ের ব্যাপারি প্রতিনিয়ত খোরদো বাজারের গুড়ের হাট থেকে পাইকারী দামে গুড় ও পাটালি কিনে অন্যত্র বিক্রিয় করে থাকেন।
এদিকে, খোরদো বাজারের খেঁজুর গুড়ের হাট থেকে গুড় কিনে ড্রাম ভর্তি করে গোডাউনে স্টক করেও রাখেন অনেক ব্যবসায়ীরা। পরে শীত মৌসুম চলে গেলে সেই গুড় ও পাটালি চড়া দামে বিক্রয় করে থাকেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন