সম্পত্তি লিখে দেয়াকে কেন্দ্র করে
কলারোয়ায় স্বামীর লাশ নিয়ে দু’স্ত্রীর টানাহেচড়া, ৪০ঘন্টা পর দাফন
সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দুই সতীনের টানাহেচড়ায় মৃত্যুর দীর্ঘ ৪০ঘন্টা পর অবশেষে দাফন করা হলো প্রয়াত আইনজীবী ইয়ার আলীর মরদেহ। কলারোয়ার শ্রীপতিপুর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার (৩১জুলাই)। গত ৩০ জুলাই সোমবার ভোরে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এড.ইয়ার আলী। কিন্তু মরেও শান্তি পেলেন না তিনি। প্রয়াতের সম্পত্তি নিয়ে দুই স্ত্রী ও তাদের সন্তানদের বিরোধে দাফন কাজ বন্ধ থাকে সোমবার ও মঙ্গলবার। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্যদের হস্তক্ষেপে স্ট্যাম্পে লেখাপড়া এবং আদালতের নির্দেশনার পর অবশেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে- বিশিষ্ট আইনজীবী, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বেত্রবতী হাইস্কুলের সভাপতি এড.ইয়ার আলী জীবদ্দশায় সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার একমাত্র ছেলেকে লিখে দিয়ে যান। ফাঁকি দেন প্রথম স্ত্রী ও প্রথম পক্ষের ২ ছেলে ও ৪ মেয়েকে। এরই ফলে বিপত্তি বাঁধে তার মৃত্যুর পর। লাশ আটকে দাফনে বাঁধা দেন তারা। সোমবার দিনভর, রাত ও মঙ্গলবার দপুর পর্যন্ত চলে লাশ নিয়ে টানাহেচরা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় মরদেহ ফুলে ফেপে দূর্গন্ধে পরিণত হয়। বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়, হয় মুখরোচক সংবাদেও। এরই মাঝে স্থানীয় কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন দু’পক্ষকে নিয়ে বারবার সমঝোতার চেষ্টা করতে থাকেন। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যার একটু আগে আদালত, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে স্ট্যাম্পে লিখে সমঝোতার মাধ্যমে দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে- প্রথম স্ত্রীর জোহরা খাতুন ও তার ২ ছেলে, ৪ মেয়েদের কোন সম্পত্তি না দিয়ে ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার একমাত্র ছেলেকে ২৬ বিঘা ভিটে-বাড়িসহ সম্পতি গোপনে লিখে দেন এড. ইয়ার আলী। কয়েক বছর আগে তিনি প্রথম স্টোকে অসুস্থ হলে সেসময় স্থানীয় একটি ইট ভাটার কাছের ৬বিঘা জমি লিখে নেন ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার পুত্র। পরে সেই জমি ইঁভাটার মালিক কামরুল হাজীর কাছে ৬৯ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেন ২য় স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার ছেলে প্রিন্স।
স্থানীয়রা আরো জানায়- প্রথম স্ত্রীর বাপের বাড়ি থেকে পাওয়া, বোনের সম্পত্তি ও ছোট ভাই মোকসেদ হাজীর ভিটে বাড়ি অনৈতিকভাবে নিজের নামে লিখে নিয়ে ২য় স্ত্রী ও তার সন্তানকে লিখে দেন প্রয়াত ইয়ার আলী।
এরূপ বিভিন্ন কারণে প্রথম স্ত্রী-সন্তান, ভাইদের বিপত্তির মুখে অবশেষে মৃত্যুর ৪০ ঘন্টা পর ২য় স্ত্রী ও তার ছেলে ৩’শ টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর করে সমঝোতার মাধ্যমে ছোট ভাই মোকসেদসহ প্রথম স্ত্রী জোহরা খাতুন ও তার সন্তাদের ৮ বিঘা সম্পতি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে লাশ দাফন করার সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যার একটু আগে শ্রীপতিপুর চাতালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন