কলারোয়ায় শীতের হাওয়ায় খেজুর রস সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় গাছিরা
কলারোয়ায় শীতের পরশে খেজুর গাছের রস সংগ্রহের লক্ষ্যে খেজুর গাছ কাটার কাজে ব্যস্ত গাছিরা।
শীত মৌসুমে সৃষ্টির এ অন্যন্য রসের স্বাদকে সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে ইতোমধ্যে রস সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় খেজুর গাছ পরিচর্যা শুরু হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
খেজুর রস সংগ্রহের জন্য কয়েকটি দফা অবলম্বন করতে হয় বলে জানাান গাছিরা।
সেই প্রক্রিয়া প্রথম দফায় খেজুর গাছের উপরিভাগে প্রথমে গাছের পাতা কেটে ঝোড়া হয় বা গাছ উঠানো হয় এরপর কিছুদিন পর দ্বিতীয় দফায় গাছের উপরিভাগের একপাশে চাচ দেয়া হয়। তৃতীয় দফায় কিছুদিন পর সেখানে সামান্য চোখের মতো কেটে খিলিন দেয়া হয়। মূলত চাচ দেয়া ও খিলিন দেয়ার পর থেকেই ভাড়ে বা ছোট কলসিতে রস আহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ২/১দিন পরপর খিলিনের উপরের ওই স্থানে সামান্য সামান্য কাটার ফলে সেখান থেকে খেজুর রস গড়িয়ে ভাড়ে বা ছোট কলসিতে পড়ে। এভাবেই খেজুর রস সংগ্রহ করা হয়। -এমনটাই জানালেন খেজুর গাছ কাটানোর কাজে নিয়োজিত গাছিরা।
খেজুরের রস পান করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সেই রস থেকে গুড় ও পাটালিও তৈরি করা হয়ে থাকে।
শীতের ভরা মৌসুমে রস সংগ্রহে জন্য প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে চাষী বা গাছিরা। এখনো শীতের তীব্রতা দেখা না মিললেও এরই মধ্যে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন উপজেলার অনেক গাছিরা। তবে কলারোয়া অঞ্চলে খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে। কয়েক বছর আগেও বাড়ির আঙ্গিনায়, ক্ষেতের আইলের পাশে কিংবা রাস্তার দুই ধারে খেজুর গাছের আধিক্য থাকলেও এখন আর তেমনটা দেখা যায় না। যদিও সরকার বর্তমানে তাল ও খেজুর গাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশব্যাপী।
যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। খেজুর গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত অত্যন্ত রস দেয় -এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েশ খাওয়ার পালা। এছাড়া খেজুরের পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী করা হয়, এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া খেজুর গাছ দিয়ে মজবুত আড়াও তৈরি করা হয়ে থাকে।
সবমিলিয়ে শুধু রসের জন্য নয়, খেজুর গাছের গুনাগুন অপরিসীম।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন