অসুখের শংকা
কলারোয়ায় মাছের বরফ দিয়ে ঠান্ডা শরবত!!
কলারোয়ায় মাছের বরফ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঠান্ডার শরবত!!
প্রচন্ড গরম আর তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ তখন শিশু থেকে সব বয়সীরা ভ্রাম্যমান দোকান থেকে তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা শরবত পান করছেন। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরা গ্লাসপ্রতি ৫টাকা দরের এই পানি পান করছে। কলারোয়া বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র হরহামেশায় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেটা আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ। সরেজমিন বিষয়টি দেখতে ও খোঁজ নিতে গেলে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ চিত্র, যা অনেকেরই অজনা।
জানা গেছে- ‘ওই ঠান্ডা পানীয়জল তৈরি হচ্ছে মাছে ব্যবহার করা নোংরা বরফ দিয়ে।’
কলারোয়ার একটি বরফ মিলের শ্রমিক একরামুল হোসেন জানান- ‘এসব বরফ গুলো মাছের পেটিতে দিয়ে ঢাকা পাঠানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। মাছে ব্যবহৃত বরফ তৈরির জন্য সাধারণ পানি কিংবা পুকুর-জলাশয়ের পানিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তুলনামূলক স্বল্পমূল্যে বরফ বিক্রির জন্য অতিসাধারণ পানি কিংবা অনেকক্ষেত্রে হাতের কাছের নোংরা পানি দিয়েই বরফ তৈরি করা হয় শুধুমাত্র সেই বরফ মাছের পেটিতে ব্যবহারের জন্য।’
তিনি আরো জানান- ‘তবে কিছু ফুটপাতের অসাধু ব্যবসায়ী অতিমূল্যে মাছের নোংরা বরফ কিনে নিয়ে গিয়ে সেই বরফের ঠান্ডা পানি দিয়ে শরবত তৈরি করে কলারোয়া বাজারে ব্যবসা করে আসছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ‘ইউরেকা ফুয়েল পাম্প সংলগ্ন বরফমিলসহ আশপাশের কয়েকটি বরফ মিলে আস্ত বরফের থান তৈরি করা হয়। সেখান থেকে বরফের থানগুলো ভ্যান-ট্রলিযোগে নেয়া হয় কলারোয়া পুরাতন খাদ্যগুদামের পাশে পাইকরী মাছ বাজার সংলগ্ন বরফ টুকরা করার দোকানে। সেখানে থানের বরফগুলো মেশিনে ফেলে টুকরা কিংবা গুড়া করা হয়। এমনকি পা দিয়েও অনেকসময় বরফের টুকরা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেই টুকরা বা গুড়া বরফ মাছের পেটিতে দিয়ে মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। বরফ মিল ও বরফ গুড়া করার দোকানের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকরা। কিন্তু ওই বরফ মিল কিংবা বরফ টুকরা করার দোকান থেকে কতিপয় অসাধু ভ্রাম্যমান ঠান্ডা পানির শরবত বিক্রেতারা বরফ কিনে সেই পানি দিয়ে শরবত তৈরি করে বিক্রি করছে। বিক্রির সময় ওই পানিতে সিগারিন, সামান্য ইসুবগুলির ভুষি, তকমা ফল, ট্যাঙ জাতীয় ফ্লেবারের পাউডার ও অন্যান্য কিছু মিশিয়ে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেক সময় সরাসরি বরফ গলা পানি ব্যবহার করা হচ্ছে আবার পানির পাশে বরফদিয়ে পানি ঠান্ডা করা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবেই হোক সেটা স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।’
কলারোয়া বাজারের এক সরবরত ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
অস্বাস্থ্যকার এই পানীয় শরবতজল মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.শফিকুল ইসলাম জানান- ‘এ জাতীয় পানি পান করলে ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, টায়ফয়েডসহ পেটের বিভিন্ন অসুখ হতে পারে। এমন কি কিডনি ও লিভারের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন