ঘটছে দূর্ঘটনা
কলারোয়ায় ব্যাটারীভ্যান-ইজিবাইকের সামনের এলইডি লাইটে দিশেহারা পথচারীরা
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মটরভ্যান নামটা সহজ হলেও সড়ক যোগাযোগ পথে বিষয়টা খুবই জটিল। ইজিবাইক ও মটরভ্যানে সহজেই যে কোন স্থানে যাওয়া যায়, মালামাল ওঠানামা সহজ হয়, নবীন-প্রবিণদের গাড়ীতে উঠতে কোন বেগ পোহাতে হয়না, জ্বালানী হিসেবে পেট্রোল বা গ্যাসের খরচ নেই। অথচ এই গাড়ীটি আমাদের নাগরিক জীবনে বড় কঠিন বিপদ আনতে পারে তা সাধারণ মানুষের ধারণাতেও আসে না।
ইজিবাইক ও ব্যাটারী চালিত অটোভ্যানের সামনের হেডলাইট হিসেবে এলইডি সাদা লাইট যে কিরূপ ভোগান্তিকর ও বিপদজনক তা ভূক্তভোগি ও পথচারীরা বেশ টের পাচ্ছে। ঘটছে ছোটখাটো দূর্ঘটনাও। মৃত্যুর হাতছানিতে মুখোমুখি পথচারীরা। অথচ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কিংবা দায়িত্বশীলরা বরাবরই নিরব থাকায় প্রতিকারের ব্যবস্থা হচ্ছে না। উপরন্তু বেশ কয়েকটি স্পট থেকে ওই সকল যানবাহন থেকে তোলা হচ্ছে মাসোহারার টাকা।
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এমন দৃশ্যপট হরহামেশা চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায় ও ভূক্তভোগিরা জানান- ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও ইজিবাইকের সামনের হেডলাইট হিসেবে ব্যবহৃত সাদা ও তীক্ষ্ণ লাইটের আলোয় রাতের বেলা বিপরীতমুখি যাতায়াতকারীরা পড়েন চরম বিপাকে। রাতে সামনে থেকে আসা গাড়ির ওই লাইটের কারণে বিপরীতমুখি পথচারী, বিভিন্ন গাড়ির চালকদের চোখ ধাধিয়ে যায়, সাময়িকের জন্য ওই লাইট ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। মুহুর্তের মধ্যে চোখে আলোর ঝলকানির কারণে বিদ্যুত বেগে চোখে দেখা না যাওয়ায় মাঝে মধ্যে ঘটছে দূর্ঘটনাও। আর সড়কের খনাখন্দকের স্থানগুলোতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
বৈদ্যুতিক চার্জারের ব্যাটারী চালিত এ যানবাহনের পাশাপাশি বর্তমানে কেউ কেউ তাদের মোটরসাইকেলের হেডলাইটের নিচেও এমন সাদা এলইডি লাইট সংযুক্ত করছেন।
ফলে আধাঁর রাতে এহেন অনিয়ন্ত্রিত লাইটের সাথে সাথে ওই সকল যানবাহনের বেপরোয়া গতি তোয়াক্কা করছে না অন্যদের। আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা তুলনামূলক ছোট ছেলেদের চালকের আসনে প্রায়ই দেখা যায়। এর পাশাপাশি যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে কলারোয়ার তুলশীডাঙ্গা সোনিয়া ফিলিং স্টেশনের পার্শ্ববর্তী মিম ছাত্রাবাসের সামনে এবং কলারোয়া সরকারি কলেজের প্রধান গেটের পাশের মোড়ে ব্যাটারিচালিত মোটরভ্যান, ইজিবাইকসহ স্থানীয় যাত্রীবহনকারী যানবহন থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলতে দেখা যায়।
ভূক্তভোগিরা জানিয়েছেন- গাড়ি চালাতে গেলে মাসিক চাঁদা হিসেবে গাড়িপ্রতি ১৫০টাকা করে সংশ্লিষ্ট চাঁদাবাজদের দিতে হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট ছবিসম্বলিত স্লিপের মাধ্যমে উপজেলাব্যাপী এরূপ চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে তারা জানান। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধোরসহ বিভিন্ন বিড়ম্বনা ও হয়রানী করা হয়ে থাকে।
বিরক্তিকর সামনের এলইডি হেডলাইট অপসারণ এবং গাড়ি থেকে চাঁদা উত্তোলন বন্ধে ঊর্দ্ধতন প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভূক্তভোগিসহ সচেতন মহল।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন