কলারোয়ায় পরকীয়ার জেরে আদিমলীলায় জড়িয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে বিয়ের পিড়িতে প্রেমিক-প্রেমিকা।

গত ৩ মে বৃহষ্পতিবার বিকেলে উপজেলার বামনখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় জনতার হাতে ধরা পড়ে তারা। শেষমেশ সালিশ বিচারের সম্মুখিন হয়ে বিয়ের পিড়িতে বসতে বাধ্য হন তারা।

লীলায় জড়িত থাকারা হলেন- উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের খানপাড়ার গোলাম হোসেনের ছেলে ভাংড়ির হকার মো.সাকিব হোসেন (৩৫) ও একই গ্রামের ইন্দাদুল ইসলামের স্ত্রী মোছা.বিলকিস বেগম (২৫)। পরকীয়ার প্রেমিক সাকিবের ৮বছর বয়সী ছেলের পিতা আর প্রেমিকা বিলকিস বেগম সাড়ে ৩বছরের শিশু কন্যার জননী ও দলুইপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

জানা যায়- দীর্ঘ ১বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তারা নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতো। ফলে দুই সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হলে সম্প্রতি সাকির পটুয়াখালী এলাকায় নিয়ে বসবাস করছিল।

সেখান থেকে বৃহস্পতিবার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের বাবনখালীতে বিলকিসের এক চাচার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্দেহ করে বাবনখালী সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর মোছা. মাসুরা খাতুনের কাছে সমর্পন করে।

ঘটনাস্থলে বিচার ফয়সালা না হওয়ায় যুগিখালী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের অনুমতিক্রমে মহিলা মেম্বরের ভাতিজির সুবাদে দায়িত্ব দিয়ে দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ৫মে শুক্রবার সন্ধ্যার পর সমার্পন করা হয় বলে জানান খোরদো ইউপি সদস্য কাওসার আলী।

কিন্তূ সেখানেও বিচার ফয়সালা সন্তোষজনকভাবে সমাধান না হওয়ায় খোরদো প্রেসক্লাবে শেষেমেশ শালিস বিচার করা হয়।
সেখানে খোরদো প্রেসক্লাব সভাপতি মেহেদী মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম আইয়ুব হোসেন, খোরদো ক্যম্প আইসি সিরাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ. লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, মেম্বর কাওসার আলী ও স্থানীয় একাধিক জনসাধারণের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে দুই পরিবারের নানাবিধ সমস্যা পর্যালোচনা করে বিলকিস বেগমকে তার স্বামী মেনে না নেয়ায় ও ডিভোর্স দিতে স্ব-ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফলে বিলকিসকে ৫ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে করতে পরকীয়ায় জড়িত সাকির হোসেনের প্রতি চূড়ান্ত ফয়সালা দেয়া হয়।
তাদের বামনখালির মহিলা মেম্বর মোছা. মাসুরা খাতুনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---