কলারোয়ায় পঙ্গু ভ্যান চালকের বসতবাড়ির পথ বন্ধ করে পাঁচিল দেয়ার অভিযোগ, সমাধানের দাবি
রেজাউল ইসলাম (৩৫)। পেশায় একজন ভ্যানচালক। তিনি শারীরীক প্রতিবন্ধী ও অত্যন্ত হতদরিদ্র। প্রতিবন্ধী হয়েও সংসারের ঘানি টানতে একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম ব্যাটারিচালিত মোটর ভ্যান চালাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। ভিটে বাড়ির অল্প একটু জমি ছাড়া তার কোন সম্পদ নেই। আর এখানেই মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে যে, তার বসত বাড়ি থেকে বাইরের রাস্তায় যাওয়ার পথটুকুও রুদ্ধ হয়ে গেছে নিজের ভাইয়ের দ্বারা ইটের প্রাচীর দেয়ার কারণে।
কলারোয়া পৌরসভাধীন তুলশীডাঙ্গা ১নং ওয়ার্ডের আলিয়া মাদরাসা এলাকার বাসিন্দা মানিক দফাদারের পুত্র রেজাউল ইসলাম। মানিক দফাদারের ৪ পুত্র ও ৪ মেয়ের মধ্যে পঙ্গু রেজাউল সেঝ পুত্র। ২০১৪সালের ১৮ ডিসেম্বর ৪ভাইয়ের স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্পে আপোষনামার মাধ্যমে তুলশীডাঙ্গার পৃথক দু’টি ভিটেবাড়ির একটি স্থানের ৪শতক জায়াগায় বসবাস করেন ছোট ভাই আজহারুল ইসলাম ও সেঝ ভাই ভ্যান চালক পঙ্গু রেজাউল ইসলাম। ওই জমির পাশের পৈত্রিকসূত্রে ও ক্রয়সূত্রে মালিক রেজাউলের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী। আপোষনামায় জমির উপর দিয়ে সকলের যাতায়াতের পথ থাকার কথা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকলেও বাধা হয়ে দাড়িয়েছে সেখানে তৈরি করা ইটের প্রাচীর। বড় ভাই মোহাম্মদ আলী সম্প্রতি সেখানে ইটের প্রাচীর দেয়ায় যাতায়াতের পথরুদ্ধ হয়ে পড়েছে রেজাউল ইসলামদের। শুধু তাই নয়, তার একমাত্র উপার্জনের পন্থা ব্যাটারিচালিত মোটর ভ্যানটি বৈদ্যুতিক চার্জ দেয়ার জন্য বাড়িতে আনা-নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অন্যের কাছ থেকে বিদ্যুত সংযোগে ভ্যান চার্জ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে তার। মাঝে মধ্যে বসেও থাকতে হয়। আবার পঙ্গু হয়েও অন্যের জমিতে কামলা দেন তিনি। যাতায়াতের পথ বের করতে গিয়ে ইতোমধ্যে পৌরসভা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দপ্তরসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে লিখিত ও মৌখিক আবেদন জানিয়েও কোন সুরুহা হয়নি পঙ্গু ভ্যান চালকটির।
রেজাউল ইসলাম জানান- ‘কঠিন কোন কাজকর্ম করতে না পারায় মটরচালিত ভ্যান চালিয়ে বহু কষ্টে সংসার চালাচ্ছি। আমার বাড়ি থেকে সরু গলি রাস্তার পথ ছিলো, সেই পথ দিয়ে ভ্যানটি নিয়ে রাস্তায় যাওয়া-আসা করি। কিন্তু আমার বড় ভাই উক্ত পথটি পাঁচিল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।’
কান্না জড়িতে কন্ঠে তিনি আরো জানান- ‘আমি হতদরিদ্র পঙ্গু প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হওয়ায় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন যাপন করছি।’
যাতায়াতের পথ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন রেজাউল ইসলাম।
এদিকে, বিষয়টি নিরসনে আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দপ্তরে গত ১৪ মার্চ বুধবার বিকেলে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসাবসির কথা থাকলেও ভূক্তভোগি রেজাউল ইসলাম ছাড়া সেখানে কেউ উপস্থিত না থাকায় মীমাংসা হয়নি। আর পৌরসভা থেকে এখনো পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
ঊর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আর সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছে বসতবাড়ির পথ বের করে দেয়ার নিবেদন ও সমাধানের দাবি জানিয়েছেন অসহায় পঙ্গু রেজাউল ইসলাম।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন