কলারোয়ায় এক কলেজের এমপিওভূক্ত শিক্ষক দুই কলেজে ক্লাস নেন!
কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া সোনারবাংলা কলেজের এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে অন্য আরেকটি কলেজে ক্লাস নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোনাবাড়িয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ও এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এমনকি ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এলাকাবাসী ও কলেজ শিক্ষকদের অভিযোগ- ‘ওই কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফারহানা জেসমিন ২০০৪সাল থেকে এমপিওভূক্ত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার ইনডেক্স নং- ৩০০৯৫৩১। কিন্তু তিনি সপ্তাহে দু’দিন শনিবার ও বুধবার নিজ প্রতিষ্ঠানে না এসে কলারোয়ার শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স পর্যায়ে ক্লাস নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে তিনি ২০০৬সাল থেকে অদ্যবধি শেখ আমানুল্লাহ কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ নিজ প্রতিষ্ঠান সোনাবাড়িয়া কলেজ থেকে প্রতি মাসে তিনি যেমন পূর্নাঙ্গ বেতন উত্তোলন করে যাচ্ছেন ঠিক তেমনি নিজের ইচ্ছামাফিক প্রতি সপ্তাহে দু’দিন অনুপস্থিত থাকছেন। আবার অতিরিক্ত হিসেবে শেখ আমানুল্লাহ কলেজ থেকেও বাড়তি আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করছেন। এভাবে মাসে প্রায় ৮দিন সোনাবাড়িয়া কলেজে প্রতিনিয়ত অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষকদের মধ্যে একে অন্যের রেশারেশিতে শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কলেজটির ভামূর্তি ক্ষুন্ন হওয়াসহ আগামিতে কলেজের ভর্তিতেও প্রভাব পড়তে পারে বলে এলাকাবাসী কানাঘুষা করছে।’
প্রভাষক ফারহানা জেসমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার জানান- ‘নিজ কলেজে সপ্তাহে শনিবার আমার ক্লাস না থাকায় আমি শেখ আমানুল্লাহ কলেজে ক্লাস নেয়।’ ‘এরপর থেকে শেখ আমানুল্লাহ কলেজে আর ক্লাস নিতে যাবো না’ বলে সংবাদটি পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
সোনাবাড়িয়ার সোনারবাংলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা খাতুন ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে জানান- ‘ওই শিক্ষককে বারবার নিষেধ করা সত্বেও তিনি এভাবে শেখ আমানুল্লাহ কলেজে যথারীতি ক্লাস নিয়ে যাচ্ছেন।’
শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরা বেগম জানান- ‘সোনারবাংলা কলেজের শিক্ষক ফারহানা জেসমিন আমার কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স পর্যায়ের ক্লাস নেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ‘ওই শিক্ষক খন্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে তিনি বিগত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রইছ উদ্দীনের সময় থেকে ক্লাস নিয়ে যাচ্ছেন।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন