কলারোয়ার দেয়াড়ায় চায়ের দোকানের আড়ালে কেরামবোর্ডের জুয়ার আসর!
কেরাম বোর্ড খেলা অবশ্যই ইতিবাচক, কিন্তু সেটা যদি হয় বাজি ধরে কিংবা অনৈতিক টাকার হার-জিতের বিনিময়ে তবে সেটা যে আর খেলার প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জুয়ায় পরিণত হয়।
এমনই চলছে কলারোয়া দেয়াড়ায় চায়ের দোকানের আড়ালে রমরমা ভাবে চলছে কেরাম বোর্ডের নামে জুয়ার আসর!
বিশেষ করে দেয়াড়া, খোরদো বাজারসহ আসেপাশে কয়েকটি বাজারের অনেক চায়ের দোকানে এই জুয়া ব্যবসাটি বেশ বেড়ে গেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেরাম বোর্ডের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে স্কুল, কলেজের পড়ুয়া ছাত্ররা, দিন মজুর সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষজন।
সরেজমিনে দেখা যায়- খোরদো বাজারের বিভিন্ন চায়ের দোকানে এটি চলছে হরহামেশা।
দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো বাজারে আলিম কাঠগোলা মোড় সংলগ্ন এলাকায় দুটি, সৈনিক লীগ অফিস সংলগ্ন চায়ের দোকানে একটি, গনেশের রাইসমিলের পাশে একটি, হাজি মার্কেট এলাকায় দুটি, হৃদয় সিনেমা হলের পাশে একটি, কৃষি ব্যাংকের পাশাপাশি দুটি চায়ের দোকানে দুইটি, খোরদো ব্রিজ এলাকায় দুটি এবং খোরদো স্কুল সংলগ্ন এলাকায় একটি কেরাম বোর্ডের খেলার আসর পাওয়া গেছে। যেখানে সাধারণ গেমের পাশাপাশি টাকার বাজি ধরে, কিংবা অন্যকোন পণ্যের বাজি ধরে জুয়া খেলার অভিযোগ উঠেছে। গেম প্রতি ৫থেকে ১০টাকা পান কেরামবোর্ড মালিক। কিন্তু খেলোয়াররা বা তাদের পাশে উপস্থিত অন্যরা বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, বিভিন্ন পণ্য ইত্যাদি বাজি ধরে খেলা করে। পরাজিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদ্বয় বিজয়ীদের টাকা প্রদান করে থাকেন। এভাবেই চলছে গোপনে জুয়ার আসর। সেখানে উঠতি বয়সের স্কুল কলেজ ও অন্যান্য পেশার লোকজন এই খেলায় মেতে উঠেছে! প্রতি নিয়ত চলছে অশ্লীল ভাষায় কথা বার্তা!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন- খোরদো বাজার সংলগ্ন বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে আমরা স্ত্রী সন্তানসহ এখানে বসবাস করি। কিন্তু খেলার আসর থেকে এমন ভাষার উচ্চ স্বর চলে আসে যেটা সন্তান ও স্ত্রীর কাছে লজ্জিত হতে হয়।
এছাড়া দেয়াড়া বাজার, পাটুলিয়া ও পাকুড়িয়া গ্রামের কয়েকটি মোড়ে তন্মধ্যে শয়তানের মোড় নামক ও ছুরামদ্দির এবং বৌ বাজার নামক মোড়ে সকাল থেকে শুরু করে রাত ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত এই দোকান গুলো খোলা থাকে। স্কুল, কলেজে পড়ুয়া ছাত্ররা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অমনোযোগী হয়ে চায়ের দোকান গুলোতে আড্ডা জমাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দোকান মালিকরা জানিয়েছেন- তারা গেম প্রতি ৫/৬টাকা করে নেন। সাধারণ ক্রেতাদের কাছে চা-বিস্কুট বিক্রয়ের পাশাপাশি খেলা চললে গেম প্রতি টাকার পাশাপাশি তাদের কাছেও চা-বিস্কুট-ঠান্ডা বিক্রয় হয়। কিন্তু খেলোয়াররা গেমের আড়ালে বাজি ধরে টাকা বিনিময় করেন কিনা তা তারা জানেন না। জুয়ার ব্যাপারে তারা কোনভাবেই অবগত নন বলে অধিকাংশ দোকানিরা জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন