কমনওয়েলথে প্রধানমন্ত্রীর ৭ দফা প্রস্তাব উত্থাপন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তঃকমনওয়েলথ ব্যবসা, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনার উন্নয়নের জন্য ৭ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। তিনি বাণিজ্য প্রশাসন আরো উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ করে তুলতে কমনওয়েলথ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
‘কমনওয়েলথ’স রোল ইন প্রমোটিং ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক এক বৈঠকে তিনি ওই প্রস্তাব উত্থাপন করে এ আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অবশ্যই বাণিজ্য প্রশাসন উন্মুক্ত, আইন ভিত্তিক, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করবো। আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনার লক্ষ্যে দেশগুলোকে অবশ্যই অভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জোরদার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী যে ৭ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন, সেগুলো হলো :
১. সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শিল্প সম্ভাবনা ও উৎপাদনশীলতার খাত ভিত্তিক সমীক্ষা প্রয়োজন।
২. ছড়িয়ে থাকা বিনিয়োগ সম্ভাবনাসহ অভিন্ন বিনিয়োগ নীতি, নির্দেশনা ও কৌশল গ্রহণ।
৩. বাণিজ্য সহায়ক সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং পিটিএ ও এফটিএ’র অশুল্ক বাধা কমিয়ে আনা।
৪. সেবা বাণিজ্যের জন্য উদারশাসন এবং স্বতন্ত্র পেশার সেবা সুবিধার জন্য খোলাবাজার চালু।
৫. প্রকৃত ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ যাতায়াত এবং সরকারি ও বেসরকারি ক্যাটাগরিতে নির্দিষ্ট লোকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ।
৬. অবকাঠামো এবং যোগাযোগ প্রকল্প গ্রহণ।
৭. এসএমই এবং ব্লু ইকোনমি খাতসহ উৎকৃষ্ট কেন্দ্র এবং প্রতিষ্ঠানের সহায়তা এবং উন্নয়ন, আরএন্ডডি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল গঠন।
কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে, তাদেরকে বৃহত্তম সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনা শক্তির পরিচালনায় কমনওয়েলথকে অবশ্যই এই বিপুল মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, এ জন্য আমাদের অবশ্যই প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যসমূহ অর্জন করতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্যে টানা পোড়েন, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় হুমকি এবং অর্থবাজারে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় কমনওয়েলথ কিভাবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনার উন্নয়নে ইতিবাচক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে সেটি এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে আন্তঃ কমনওয়েলথ বাণিজ্যের অনুমিত পরিমাণ ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য বেশি।
‘বিশ্বের জিডিপিতে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের অবদান ১৬ শতাংশ, অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮টি দেশের এই অবদান ১৯ শতাংশ। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপি’র হার ৪ দশমিক ১ শতাংশ, এই তুলনায় ইইউ’র জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। তিনি বলেন, আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কমনওয়েলথ দেশগুলোর জনসংখ্যা ২শ’ কোটির বেশি, যা ইইউ’র ৪ গুণ। এই হিসেব থেকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসা ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা বোঝা যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এটি দেখে খুশী যে গতবছর প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথ বাণিজ্য মন্ত্রীদের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এ সময়ে মন্ত্রীরা অভিন্ন সংস্কৃতিকে ‘কমনওয়েলথ ফ্যাক্টর’ হিসেবে আলোচনা করেন যা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেই এমন দেশের তুলনায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যকে ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী করেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন