এমপিওভুক্তির আন্দোলন চলবে
এমপিওভুক্তির দাবিতে স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকাল ১০ টার দিকে ফেডারেশনের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তাঁদের কাছে স্মারকলিপি পৌছে দেন।
একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে গত ১০ জুন থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার এ অবস্থান কর্মসূচি ১২ দিনে গড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ননএমপিও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকরা এ কর্মসূচি যোগ দিচ্ছেন। শুক্রবার (২২ জুন) রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেবেন শিক্ষকরা। এমপিওভুক্তির ঘোষণা না আসলে শনিবার (২৩ জুন) থেকে তারা প্রতীকী অনশন শুরু করবেন।
এদিকে ননএমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে প্রতিদিনই সংহতি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। তারা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহবান জানাচ্ছেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ননএমপিও শিক্ষকদের সঙ্গে রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শিক্ষক নেতারা। শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারের প্রতি তারা এ আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) ননএমপিও শিক্ষকদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. সুশান্ত কুমার দাস, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি মো: আবুল বাশার হাওলাদার, যুগ্ম সম্পাদক ড. সদরুল আমীন প্রমুখ।
ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, এমপিওভুক্তির দাবি বাস্তবায়নে আগামী শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা প্রতীকী অনশন করব। একযোগে সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং সকল সংসদ সদস্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। শুক্রবার রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের এমপিওভুক্তির মানবিক দাবি স্মারকলিপির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতির বাইরে আছে ২ হাজারেরও বেশি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫ থেকে ২০ বছর বিনা বেতনে চাকরি করছেন। অনেকের আর চাকরি আছে মাত্র ৫ থেকে ১০ বছর। এ কারণে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আর অপেক্ষায় না রেখে বর্তমান সরকারের মেয়াদে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এত বছর পর কোনক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আংশিক সমাধান সমীচীন হবে না। স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু সংখ্যক এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিলে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এ কারণে এমপিওভুক্তির সামগ্রিক সমাধান করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রমতে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করলে মাসে আরও প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচ হবে। যদিও সরকারের পরিকল্পনা হলো হাজারখানেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।
২০১০ খ্রিস্টাব্দের পর নতুন করে দেশে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনসহ কিছু ভাতা সরকার থেকে পান। গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে এসব শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনসহ লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তখন একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের যে বাজেট বক্তৃতা দেন, সেখানে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা আবার আন্দোলনে নেমেছেন।
এমপিওভুক্তির আন্দোলন চলবে
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করলেও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলমান লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে গত ১০ জুন থেকে এই আন্দোলন চলছে।
সংগঠনের নেতারা বলছেন, মন্ত্রণালয় নতুন নীতিমালার ভিত্তিতে হাজার খানেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কথা বলছে। কিন্তু তাঁদের দাবি পুরানো নীতিমালা অনুযায়ী স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে।
ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫ থেকে ২০ বছর বিনা বেতনে চাকরি করছেন। অনেকের আর চাকরি আছে মাত্র ৫ থেকে ১০ বছর। এ কারণে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আর অপেক্ষায় না রেখে বর্তমান সরকারের মেয়াদে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এত বছর পর কোনক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আংশিক সমাধান সমীচীন হবে না। স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু সংখ্যক এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিলে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এ কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলমান লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এমপিওভুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকাল ১০ টার দিকে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন। ফেডারেশনের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তাঁদের কাছে স্মারকলিপি পৌছে দেন। একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে গত ১০ জুন থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার এ অবস্থান কর্মসূচি ১২ দিনে গড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ননএমপিও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, ও কারিগরি শিক্ষকরা এ কর্মসূচি যোগ দিচ্ছেন। শুক্রবার (২২ জুন) রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেবেন শিক্ষকরা। এমপিওভুক্তির ঘোষণা না আসলে শনিবার (২৩ জুন) থেকে তারা প্রতীকী অনশন শুরু করবেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন