হৃদয়ে আজ ভালোবাসার সুর
প্রকৃতিতে পত্রঝরা বসন্তের শুরু। গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে কোকিলের কুহু..কুহু..। ঘড়ির কাঁটা আর ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শেষে আজ ভালোবাসার প্রহর। বাতাসে ভালোবাসা দিবসের সুঘ্রাণ।
আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল- এমন ভাবনায় কেটেছে যেসব তরুণ-তরুণীর, তাদের মনের না-বলা কথা প্রস্ফুটিতে হবে ভালোবাসার দিনটিতে। দখিনা হাওয়া এই দিনে হৃদয়ে বুনে দেবে ভ্রমরের গুঞ্জন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ‘আমার জীবনে তুমি বাঁচো ওগো বাঁচো/তোমার কামনা আমার চিত্ত দিয়ে যাঁচো…।’ কবির মতোই ভালোবাসা বোঝাবুঝির বোধ হয়তো আজ একটু বেশিই অনুভূত হবে ফুল বিনিময় ও আবেগের ভাষায়।
ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম যে কারণটি রয়েছে, সেটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুর আগে প্রতি বছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করতো ‘জুনো’ উৎসব। রোমান পুরাণের বিয়ে ও সন্তানের দেবী জুনোর নামানুসারে এর নামকরণ। এই দিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তার নাচের সঙ্গীকে বেছে নিতো। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমানরা যখন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হয়, তখন ‘জুনো’ উৎসব আর সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের দিনটিকে একই সূত্রে গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন’স ডে হিসেবে উদযাপন শুরু হয়। কালক্রমে এটি সমগ্র ইউরোপ এবং ইউরোপ থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে শুধু তরুণ-তরুণী শুধু নয়, যেকোনো বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন, এই ভ্যালেন্টাইন’স দিনটি। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি। ‘কিন্তু শুধু একটি দিন ভালোবাসার জন্য কেন?’- এ প্রশ্নে কবি নির্মলেন্দু গুণের ছোট্ট জবাব, ‘ভালোবাসা একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়। সারাবছর, সারাদিন ভালোবাসার। তবে এই দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছে মানুষ।’
দেশভেদে ভালোবাসা প্রকাশের ভাষা ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আজ সকলের হৃদয়ের অনুভূতি একই।
প্রেমের জন্য, ভালোবাসার জন্য কে না মুখিয়ে থাকেন? তারপরও কি ভালোবাসা দেয় ধরা? কারো দেয়। কেউবা জীবনভর হণ্যে হয়ে ভালোবাসা কারে কয় এর উত্তর খুঁজে-ই ফিরেন। উত্তর খোঁজার আগে থাকতে হবে একটু চেষ্টাও। মনের কথা মুখ পর্যন্ত আনার জন্য, নিদেনপক্ষে চোখের কোনায় ফুটিয়ে তোলার থাকতে হবে ছোটোখাটো কিছু চেষ্টাও। এই চেষ্টার মধ্যে উপহার আদান-প্রদানের বিষয়টি চলে আসে। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন উপহার হিসেবে দেয়া হয় প্রিয়জনকে। এছাড়া নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটি গোলাপ, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দু’ছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ। তবে ভালোবাসার সঙ্গে ফুলের সম্পর্ক যেন অবিচ্ছেদ্য। ফুল ছাড়া ভালোবাসার প্রকাশ যেন কিছুটা অসম্পূর্ণ।
ভালোবাসা দিবস যদিও পশ্চিমা সংস্কৃতি। তবে ভালোবাসা যে! আর ভালোবাসার কোনো পূর্ব-পশ্চিম হয় না। তাই বেশ আগেই ঢেউ এসে লেগেছে বাংলাদেশে। দিবসটি ঘিরে মানুষের মাঝে দেখা দেয় চিত্তচাঞ্চল্য। এই চাঞ্চল্য প্রতিদিন বিরাজ করুক সকলের মনে-হৃদয়ে। সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন