সুন্দরবনে গোলপাতা আহরনের মৌসুম শুরু, বনদস্যুদের আতঙ্কে আহরনকারিরা
সুন্দরবনকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সুন্দরবনের যাবতীয় বনজ দ্রব্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে কেনাবেচা ও পাচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অতি বৃষ্টি জলোচ্ছাসের কারণে সুন্দরবনের গোলপাতা নষ্ট হওয়ার আশংকায় সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ বিভিন্ন জরিপ করে মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি নিয়ে শুধু মাত্র গোলপাতা ও মাছ শিকার শর্ত সাপেক্ষে চালু রেখেছে। তার ধারাবাহিকতায় এবার ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গোলপাতা আহরণের জন্য আহরণকারীদের সুন্দরবনে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছে বন বিভাগ গত ৩১ জানুয়ারী থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ বছর পশ্চিম সুন্দরবনের ২টি রেঞ্জের সাতক্ষীরা ও খুলনায় সরকারীভাবে গোলপাতার মোট বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ৩,৩২,৬৩০ মণ। তার মধ্যে খুলনা রেঞ্জে গোলপাতা একটু বেশি থাকায় ও আহরণকারীদের চাহিদা বেশি এবং গোলপাতার গুণগত মান ভাল সে কারণে দুই লক্ষ ছয় হাজার মন বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। আর সাতক্ষীরা রেঞ্জের গোলপাতা আহরণকারীদের চাহিদা কম, গোলপাতা উৎপাদনও কম। সে জন্য ১,২৬,৬৩০ মন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি মণ গোলপাতা আহরনে সরকারি রাজস্ব ধরা হয়েছে ১১ টাকা। দুটি রেঞ্জের ৮টি ফরেষ্ট স্টেশন থেকে এক যোগে ৩১ জানুয়ারী থেকে গোলপাতা আহরনের পাশ পারমিট বা অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে গোলপাতা আহরণকারীরা দাবি করেছে সরকারি রাজস্ব ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে গোলপাতা আহরনের অনুমিত দেওয়া ফরেস্ট স্টেশনগুলো। তাছাড়া নৌকা ভর্তির পরে কূপ চেকিং করার সময় মোটা অংকের টাকা দিতে হবে কূপ কর্মকতাদের।
এ বিষয়ে সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশির আল মামুন জানান, এ অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, সরকারী রাজস্ব ছাড়া কোন টাকা বেশি নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। এদিকে বনদস্যূদের আতংকে আছে গোলপাতা আহরণকারীরা। তারা অনেকেই জানান দেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে খড়, পাতা দিয়ে মানুষ আর ঘর ছাইতে চায়না একটু কষ্ট করে হলেও ঢেউটিন এ্যারামিট দিয়ে ঘর ছাইতে ইচ্ছুক। এলাকায় পোল্ট্রি ফার্ম চিংড়ি ঘের পাহারার ঘর সহ সামান্য চাহিদার কারনে আমরা গোলপাতা আহরণ করতে যাচ্ছি। কিন্তু বড় ভয় বনদস্যূ। পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগে ছোট ভাই, ডন বাহিনীসহ একাধিক বনদস্যূ বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা মাছ আহরণকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করছে তাহলে গোলপাতা আহরণকারীদের অপহরণ করলে বনদসূদের চাহিদা কত দাড়াবে তা নির্ণয় করা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন