সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে
সাতক্ষীরা সদরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন অনুপযোগী হওয়ার ফলে কোমল ছাত্র-ছাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে। ঘটনাটি সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের একটি ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় শিক্ষকেরা বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাশ নিচ্ছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিথী সার্ন্যাল বলেন, বিদ্যালয়ের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন বিগত বর্ষার মৌসূমে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ভবনটির এক পাশের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ছাদ ও দেওয়ালের প্লাষ্টার খসে পড়ছে।
বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানালে ইউসিআরসি প্রশিক্ষক আবু তাহের, সদর উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মামুন হোসেন, জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন স্কুলটি পরিদর্শন এসে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, গত বছর স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২ শিফ্টের পরিবর্তে ৩ শিফ্টে শিক্ষকেরা ক্লাস পরিচালনা করেন। ২০১৭ সালের বার্ষিক পরীক্ষার সময় স্কুলের পার্শ্ববর্তী একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হয়। নতুন বছরের শুরুতে ক্লাশ করার কোন উপায়ান্তর না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ন করছে। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা, গোবিন্দকাটি, ওয়ারিয়া, ঝাউডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কোমলমতি শিশুরা এ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করতে আসে। প্রচন্ড শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। আম ও নারিকেল গাছের নিচে ক্লাস নেওয়ার সময় গাছ থেকে নারিকেলের মুছি ও শুকনো ডাল পড়ে মারাত্বক বিপদের আশংক্ষা রয়েছে। এছাড়া স্কুল মাঠের পাশেই বাথরুম অবস্থিত। বাথরুমের দূর্গন্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাশ করতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে। আগামী গীষ্ম ও বর্ষা মেীসুমে কিভাবে ক্লাস নেওয়া হবে সেটা নিয়ে মহা দুঃচিন্তায় আছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আসমত চৌধুরী জানান, ১৯৯৪ সালে ভবনটি নির্মান করা হয়। ভবনটিতে ৩টি ক্লাস রুম ও ১টি উপকরণ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। গত বছরে প্রবল বর্ষণে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এছাড়া শীত, ধুলোবালি ও যানবাহনের শব্দ সহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পড়াশুনা মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বর্তমানে অভিভাবকগণ তাদের ছেলে মেয়েদেরকে এই বিদ্যালয়ের পরিবর্তে অন্যান্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করার চিন্তা ভাবনা করছেন। অতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটি সংস্কার করা না হলে স্কুলটি ছাত্র শূণ্য হয়ে পড়ার আশংকা প্রকাশ করা হচ্ছে। বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন