সাতক্ষীরায় এক মহিলার প্রতারণা ও হয়রানিতে একটি নিরীহ পরিবার জর্জরিত
নায্যমূল্যে ৪৪ লাখ টাকায় নিষ্কন্টক জমি কিনে মিথ্যা মামলা ও হয়রানিতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে একটি পরিবার। একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও জাল দলিল সৃষ্টি করে ভাড়াটিয়া থেকে জমির মালিক সাজতে মরিয়া চক্রটি। সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর গ্রামে এসব ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, সুলতানপুর গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল হকের পুত্র মোঃ জিয়াউল হক একই গ্রামের মৃত শফিউর রহমান ওরফে মিলনের স্ত্রী মোছাঃ ফতেমা খাতুন ও তার ২ কন্যার নিকট থেকে গত ইং ০৭/০৬/২০১৫ তারিখে কোবলা মূলে ১০ শতক জমি ৪৪ লাখ টাকায় ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের সময় ঐ জমিতে আধা পাকা ২ কামরা বিশিষ্ট ১টি টিনের চালের ঘর আশাশুনি সদরের আব্দুল অহিদের নিকট ভাড়া দেওয়া ছিল। অহিদ মারা যাওয়ায় বর্তমানে সেখানে তার স্ত্রী নাজিরা বেগম ২ কন্যাকে নিয়ে বসবাস করছে। জমি ক্রয়ের পর থেকে জিয়াউল হক ভাড়াটিয়াদের অন্যত্র চলে যেতে বললে তারা বিভিন্ন তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এরই মধ্যে আব্দুল অহিদের স্ত্রী মোছাঃ নাজিরা বেগম বাদী হয়ে কোন রকম কাগজপত্র ছাড়াই ৫ শতক জমির মালিকানা দাবী করে সদর সহকারী জজ আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-১৬৬/১৫ ও ১৯৯/১৫। মামলা চলাকালীন সময়ে ২ বছর পরে বাদী নাজিরা বেগম আরজি সংশোধনের আবেদন জানায়। এ সময় কালিগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ২৪৪৮/৬০ ও আশাশুনির ২০২২/৬৭ নং দুইটি ভূয়া দলিল সৃষ্টি করে আদালতে দাখিল করে। এসব ভূয়া দলিল নিয়ে আদালতে জিয়াউল হক চ্যালেঞ্জ করলে পরবর্তী সময়ে সচতুর নাজিরা বেগম মামলার পরিচালনা থেকে বিরত থাকলে বিজ্ঞ আদালত মামলা দুটি খারিজ করে দেয়।
এরপর আবারও তাদেরকে বাড়ি থেকে অন্যত্র যাওয়ার তাগিদ দিলে পুনরায় নতুন কৌশল খুঁজতে থাকে। এরই জের ধরে পূর্বের সৃষ্টিকৃত ভূয়া দলিল দিয়ে একই আদালতে দেওয়ানী ৮৯/১৭ নং একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করে। জাল দলিলের বিরুদ্ধে জিয়াউল হক বাদী হয়ে নাজিরা বেগম ও দুই কন্যা মোছাঃ সানজিদা অহিদ (ডালিয়া) ও মোছাঃ সাবরিনা অহিদ (জয়া) কে আসামী করে আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-সি, আর ২১৩/১৭। আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারী করলে পরবর্তী সময়ে তারা সকলে জামিন নেয়। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
শুধুমাত্র হয়রানী করে থামিয়ে দেওয়ার জন্য জিয়াউল হক ও তার সরকারী চাকুরিজীবি ভগ্নিপতি মোঃ মোখলেছুর রহমান সহ আরও কয়েকজনকে আসামী করে আরও দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা নং-৩১/১৭ ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা নং- ২৭/১৭। এ সমস্ত হয়রানী হতে পরিত্রান পেতে জিয়াউল হক বাদী সাতক্ষীরা থানায় দুইটি জি,ডি করে। যাহার জি,ডি,নং-৯৯৫, তাং-২০/১২/১৬ ও জি,ডি,নং- ৬৭৫, তাং-১৩/০৫/১৭ ইং।
ইতিপূর্বে এই নাজিরা বেগম আর্থিক সুবিধা আদায় ও হয়রানী করার জন্য তার স্বামীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান চৌধূরী ও ক্ষেত্র সহকারী মোঃ লিয়াকত আলীকে আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-জি,আর-৬৬৮/১০ (সাত:)। অথচ তার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। পরবর্তী সময়ে এই মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
এভাবেই সে ও তার দুই কন্যা বছরের পর বছর সাধারণ ও নিরীহ মানুষ জনকে প্রতিনিয়ত হয়রানী করে যাচ্ছে।
নতুন করে জিয়াউল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করতে ষড়যন্ত্র ও পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছে। নাজিরা বেগম ও তাদের কন্যাদের মাধ্যমে যে কোন সময় ক্ষতিগ্রস্থের আশংকা প্রকাশ করেছে জিয়াউল হক। জমি কিনে ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে না পেরে জিয়াউল হক অসহায় হয়ে পড়েছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে জিয়াউল হকের পরিবার।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতক্ষীরার ৫৮৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব (দূর্গাপূজা) কে কেন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন