রোহিঙ্গা ইস্যু: আইসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বাংলাদেশের করা অভিযোগের বিষয়ে বুধবার শুনানি হয়েছে। নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রুদ্ধদার শুনানি হলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি আদালত।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, শুনানি হয়েছে তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি।
১১ জুন নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল ঢাকায় এসে আলোচনার পর ‘বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণের’ অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে হস্তান্তর করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রেজিস্টার পিটার লুইস এ অনুলিপি গ্রহণ করেন।
একটি প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, তারা আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতিক্রিয়ার একটি প্রতিলিপি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। যা সম্ভবত শুনানির এক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যেকোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয়। তবে ভালো কিছু হতে পারে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ নতুন করে আরও বাড়ছে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও অবস্থা তৈরিতে ধীরনীতিতে চলছে মিয়ানমার।
এর আগে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানায় আইসিসি। তারা আঞ্চলিক বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে এ আহ্বান জানায়।
চেম্বার বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পাবলিক অথবা গোপনীয়ভাবে লিখিত পর্যবেক্ষণ জমা দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
তিনটি বিষয় হলো- ১. মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থানের প্বার্শবর্তী এলাকার অবস্থা; ২. মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের অভিযোগে কোর্টের আঞ্চলিক বিচারব্যবস্থার অনুশীলনের সম্ভাবনা এবং ৩. প্রসিকিউটরের অনুরোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়। বাংলাদেশের যোগ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এই অনুরোধ চেম্বারকে সহায়তা করবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই আদালত সাধারণত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ইত্যাদি অপরাধের জন্য দায়ীদের অভিযুক্ত করে থাকে।
১৯৯৭ সালের ১৭ জুলাই রোম নীতিমালা গৃহীত হয়। রোম নীতিমালা হল আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের মূল ভিত্তি। এ নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত। তবে রোম নীতিমালা কার্যক্রম করতে ১২০টি দেশের স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল। ১২০ দেশের স্বীকৃতির পর ২০০২ সালের ১ জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার কার্যক্রম শুরু করে। নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে এ আদালত অবস্থিত।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন