রমজানের শুরুতেই কলারোয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অসন্তোষ ক্রেতাদের
কলারোয়ায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে হঠাৎ-ই বিভিন্ন খাদ্য পণ্য সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাত্র ৫/৭ দিনের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। হাত-পা বাধা ও অসহাত্বের মতো নিরুপায় হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে ক্রেতারা বেশি দামে এগুলো কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। গুটি কয়েক অসাধু পাইকরী ও খুচরা বিক্রেতারা অধিক মুনাফার প্রত্যাশায় এ সকল পণ্য সামগ্রি বেশি দামে বিক্রি করছেন। বাধ্য হয়ে অনেক খুচরা ব্যবসায়ীরাও আগের দামের চেয়ে বেশি দামে খাদ্যসামগ্রি বিক্রি করছেন।
রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য যে খাদ্যসামগ্রি গুলো বেশি চাহিদাপূর্ণ যেমন- ছোলা, চিনি, খেজুর, গুড়, পাকা কলা, চিড়া, মুড়িসহ অন্যান্য প্রতিটি খাদ্যপণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো ৫/৭দিনের ব্যবধানে এগুলো কেজিপ্রতি ৫টাকা থেকে শুরু করে ২০/৩০টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিগুনও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর লিখিত আকারে প্রদর্শন করা নিয়ম থাকলেও সিংহভাগ দোকানগুলোতে নেই কোন মূল্যতালিকা।
স্বাভাবিক ভাবেই কলারোয়া বাজারে তরকারি পট্টি, ট’বাজার ও চৌরাস্তা মোড়ে জমে উঠেছে কেনাকাটা। গুড়, পাটালি ও কলার দোকানে কেনাকাটার উপচে পড়া ভিড় ছিলো লক্ষনীয়।
কলারোয়া বাজারঘুরে দেখা যায়- গুড় বা পাটালি কেজি প্রতি ৭০/৭৫ টাকা থেকে ৮০/১০০টাকা হয়েছে। কয়েকদিন আগেও সাগর কলার দাম ছিলো কেজিপ্রতি ২৫টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা, ৩৫টাকার মর্তমান কলার এখন মূল্য ৬০/৬৫ টাকা। ১০০ টাকার খেজুর হয়েছে কমপক্ষে ১২০টাকা আবার ক্ষেত্রভেদে ৩০০টাকা। প্রতিপিচ ৩/৫টাকার কাগুজি লেবুর দাম বেড়েছে ৭/১০টাকা। প্রতি পিচ ডিমের দাম বেড়েছে ৫০পয়সা থেকে ১টাকা করে। সপ্তাহখানিক আগে ও রমজানের প্রথমদিন পর্যন্ত দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫টাকার শশা বেড়ে হয়েছে ২৫/৩০টাকা, সয়াবিন তেল ৮২টাকা থেকে ৮৪টাকা, চিনি ৪৮ থেকে ৫৪টাকা, ছোলা ৬৫/৭০ থেকে ৭৫/৮০টাকা, বুট ৩২ থেকে ৩৬টাকা, চিড়া ৫০ থেকে ৫৪টাকা, পিয়াজ (ভারতীয়) ৮থেকে হয়েছে ১৮টাকা, পেয়াজ (দেশি) ২২থেকে ২৮টাকা, রসুন, ৪০থেকে ৬৫/৮০টাকা, শুকনা ঝাল ১৮০থেকে ২০০টাকা, কাচা ঝাল ৪০ থেকে হয়েছে ৬০টাকা, ২৫টাকার বেগুন হয়েছে ৪০টাকা, কাচা কলা ১৬ থেকে বেড়ে দ্বিগুন অর্থাৎ ৩২টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ থেকে ২৫টাকা, কচুরলতি ২৫থেকে ৩৫, আলু ১৩থেকে ১৫টাকা। ৭০০টাকার খাসির মাংস কেজি প্রতি একধাপে ১’শ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০০টাকা। গরুর মাংস ৪৫০থেকে ৫০০টাকা, পোল্টি মুরগি ১৬০থেকে বেড়ে হয়েছে ২১০টাকা। থেমে নেই মাছের দাম বৃদ্ধিও। কেজিপ্রতি রুই মাছ ২৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮০/৩০০টাকা, কাতলা ৩৫০থেকে ৪০০/৪৫০টাকা, মৃগেল ২২০থেকে ২৫০টাকা, তেলাপিয়া (নাইলোটিকা) ১০০থেকে ১৫০টাকা, চিংড়ি ৪০০ থেকে হয়েছে ৫০০টাকা, গ্লাসকাপ ১৬০থেকে ১৮০টাকা।
এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন এলকার হাটবাজারগুলোতেও কমবেশি দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এসকল খাদ্যপণ্যের।
কলা ব্যবসায়ী আকবর আলী জানান- বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামেই বিক্রি করছি।
ক্রেতা জালালবাদের মকবুল, কয়লার নূর আলিসহ অন্যরা জানান- রমজানকে পুজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা করছে।
বাজারের দিকে নজর দিয়ে পণ্যের দর স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি তারা দাবি জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন