বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

মেয়ে বলে ফেলে দিলেন বাবা, ৭৫ দিন পরে পেলেন মা

সন্তান মেয়ে হওয়ায় জন্মের পরই তাকে বাবা ফেলে আসেন রাস্তায়। সেখান থেকে নবজাতকের আশ্রয় মেলে এক চাকরিজীবীর ঘরে। আড়াই মাস লালন-পালন করার পর সেই নবজাতক তার প্রকৃত মাকে পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশে কুড়িয়ে পাওয়া দু’দিনের নবজাতকে প্রকৃত মায়ের কাছে ফেরত দিয়েছেন আরেক মা।

শিশুটির প্রকৃত মা বৃষ্টি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন গাড়িচালক সাগরের সঙ্গে বৃষ্টির প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর তারা বিয়ে করেন।

এ বছরের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাদের কন্যা সন্তান হয়। কিন্তু, মেয়ে হওয়ায় সাগর জোর করে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে আসে।

গত ১৬ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর-পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুর মাছের আড়ত থেকে মাছ কিনে বাসায় ফিরছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. শাকিল। ফেরার পথে আড়তের পশ্চিম পাশে একটি শিশুর কান্না শুনতে পান তিনি।

এগিয়ে গেলে একটি হলুদ শপিং ব্যাগের মধ্যে মেয়ে নবজাতকটিকে দেখতে পান শাকিল। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা করে দু’দিন বয়সী নবজাতকটিকে বাসায় নিয়ে যান তিনি।

শিশুটির কোনো অভিভাবক না পাওয়ায় নিজের সন্তানের মতো পালন করতে থাকেন শাকিল দম্পতি। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনি একটি জিডি করেন।

উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ শিশুটিকে শাকিলের জিম্মায় দেন। এরপর শিশুটির বিষয়ে আদালতকে অবহিত করে পুলিশ।
দীর্ঘ দুই মাস পর বৃষ্টি জানতে পারেন শিশুটি উত্তরায় শাকিল দম্পত্তির কাছে রয়েছে। তিনি শিশুটিকে আনতে গেলে তারা দিতে অস্বীকার করেন।

এরপর গত ২৮ আগস্ট বৃষ্টি আক্তার নিজেকে শিশুটির প্রকৃত মা দাবি করে ঢাকার শিশু আদালতে মামলা করেন। আদালত শিশুটির বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরপর গত ২৪ সেপ্টেম্বর অফিসার সুমন মধু আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে বৃষ্টি আক্তার যে শিশুটির প্রকৃত মা, তা উল্লেখ করেন। শিশুটির জন্মের সময় উপস্থিত ধাত্রী হোসেনা বেগমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে শিশুটিকে তার প্রকৃত মা বৃষ্টি আক্তারের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
একই সঙ্গে শিশুটিকে ৩ মাস অন্তর অন্তর আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে, আদালতের আদেশে শাকিল দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে আদালতে হাজির হন। শাকিলের স্ত্রী শিশুটিকে দিতে নারাজ ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘ও তো (বৃষ্টি) বাচ্চাটিকে ফেলেই দিয়েছিল। আমরা তাকে (হুমায়সা) আদর-যত্নে বড় করেছি। আমিই এখন ওর মা।’
শিশুটির মা বৃষ্টি আদালতকে জানান, স্বামী সাগর তাকে ফেলে রেখে চলে গেছে। এখন তিনি মেয়েটিকে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকবেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী