মতবিরোধ রাজনৈতিকভাবে মীমাংসার অনুরোধ সিইসির
সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে মতানৈক্য বা মতবিরোধ থেকে থাকলে রাজনৈতিকভাবে মীমাংসারও অনুরোধ জানাই। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক নির্বাচনে প্রার্থীর সমর্তকদের সরব উপস্থিতিতে অনিয়ম প্রতিহত হয় বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি।
তফসিল ঘোষণা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে সিইসি বলেন, সকলের জন্য অভিন্ন আচরণ ও সমান সুযোগ সৃষ্টির অনুকূলে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে। ভোটার, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, প্রার্থী, প্রার্থীর সমর্থক এবং এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হন বা মামলা-মোকাদ্দমার সম্মুখিন না হন তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর কঠোর নির্দেশ থাকবে।
নির্বাচনে শহর এলাকায় সীমিত আকারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেছেন, পুরাতন পদ্ধতির পাশাপাশি ভোট গ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শহরগুলোর সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা থেকে দ্বৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় বেছে নেয়া অল্প কয়েকটিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র ৪০ হাজার ১৯৯টি। এর মধ্যে কতটিতে ইভিএম ব্যবহার হবে, তা স্পষ্ট হয়নি সিইসির ভাষণে।
ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সিইসি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ইভিএম ব্যবহার করা গেলে নির্বাচনের গুণগত মান উন্নত হবে এবং সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হবে। জেলা এবং অঞ্চল পর্যায়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইভিএমের উপকারিতা সম্পর্কে ভোটারগণকে অবহিত করা হয়েছে। ইভিএম ব্যবহারে তাদের মধ্যে উৎসাহব্যঞ্জক আগ্রহ দেখা গিয়েছে। এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহার ‘সফল হয়েছে’ বলে ভাষণে উল্লেখ করেন সিইসি।
# সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহবান
# নিশ্চিত করা হবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড, অল্প আসনে ইভিএম
# হয়রানী না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ
# সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সবার সহযোগিতার প্রত্যাশা সিইসির
# নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সহিংসতা ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে বিএনপিসহ ইসির নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দর বর্জন করেছিল। যার ফলে ওই ভোটে ১৫৩টি আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। এবারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ অব্যাহত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের সহিংসতা দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবন গণভবনে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের মধ্যে দফায় দফায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে তফসিল পেছানোর দাবি জানিয়েছে।
ঐক্যফ্রন্ট তফসিল পেছানোর দাবি করলেও সংবিধান অনুয়ায়ি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে সিইসি তার বক্তব্যে বলেন, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। কমিশনারগণ সংবিধানের আলোকে সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করার শপথ নিয়েছেন এবং তাতে তারা নিবিষ্ট রয়েছেন। নির্বাচনী সামগ্রী ক্রয় এবং মুদ্রণের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে পারস্পরিক পরামর্শ আদান-প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনী দায়িত্বে নিবেদিত রয়েছেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি রাষ্ট্রপতিকে অবগত করেছি।
বর্তমান কমিশনের প্রস্তুতির দিকগুলো তুলে ধরে সিইসি বলেন, আমরা একাদশক সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা প্রস্তুতসহ ৭টি করণীয় বিষয় স্থির করে ২০১৭ সালে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করেছিলাম। সংলাপের মাধ্যমে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারীনেত্রী সংগঠনের কাছে কর্মপরিপকল্পনাটি তুলে ধরেছিলাম। তাদের পরামর্শ এবং সুপারিশ বিচার-বিশ্লেষণের পর করণীয় বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যেমন-কতিপয় আইন ও বিধি সংশোধন করা হয়েছে। সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৭৫টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা অর্জন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। প্রথমবারের মতো পোলিং এজেন্টগণের প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার আশ্বাস
বর্তমানে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় সবদলের জন্য লেভের প্লেইং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ বিএপির। তবে তফসিল ঘোষণার পর লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ভাষণে তিনি বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রার্থী, প্রার্থীর সমর্থক এবং এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হন বা মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন না হন তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কঠোর নির্দেশ থাকবে। দলমত নির্বিশেষে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্ম, জাত, বর্ণ ও নারী-পুরুষভেদে সবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট শেষে নিজ নিজ বাসনে নিরাপদে অবস্থান করতে পারবেন। নির্বাচনী প্রচারণায় সব প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পাবে। সবার জন্য অভিন্ন আচরণ ও সমান সুযোগ সৃষ্টির অনুকূলে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে। এ সব নিয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পরিপত্র জারি করা হবে।
সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সবার সহযোগিতার প্রত্যাশা সিইসির
সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সিইসি। তার বক্তব্যেও এ বিষয়টি উঠে এসেছে। ভাষণে তিনি বলেনন, জাতির এমন উচ্ছ্বসিত প্রস্তুতির মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আমি প্রত্যাশা করব, অনুরোধ করব এবং দাবি করব; প্রার্থী এবং তার সমর্থক নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি মেনে চলবেন। প্রত্যেক ভোটার অবাধে এবং স্বাধীন বিবেক পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবেন। স্ব-স্ব এলাকার গণ্য-মান্য ব্যক্তি এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সহায়তা করবেন। পোলিং এজেন্টগণ ফলাফলের তালিকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। নির্বাচনী কর্মকর্তাগণ নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে অটল থাকবেন। নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটগণ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটকেন্দ্র, ভোটার, প্রার্থী, নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং এজেন্টগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। গণমাধ্যম কর্মী বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশ করবেন। পর্যবেক্ষকগণ নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মেনে দায়িত্ব পালন করবেন। এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সামগ্রিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের আওতায় রাখবে। এভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে।
উচ্ছ্বাসে গোট দেশ উজ্জীবিত
সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহের জাগরণ ঘটে। তাদের বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাসে গোট দেশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। রাজনীতিবিদদের কৌশল প্রণয়ন, প্রার্থীদের নির্ঘুম প্রচারণা, সমর্থকদের জনসংযোগ, ভোটারদের হিসাব-নিকাশ, হাটবাজারে মিছিল সেøাগান, পোস্টারে অলিগলি সয়লাব, চা দোকানে বিতর্কের ঝড়, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, প্রশাসনে রদবদল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতির ঘটনা ঘটে। ভোটের দিনে ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে আবালবৃদ্ধবনিতার মধ্যে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সিইসি বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭ লক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় নির্বাহী এবং বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী থেকে ৬ লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের মধ্যে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যগণ। তাদের দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও একাগ্রতার ওপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অসামরিক প্রশাসনকে যথা-প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
সিইসি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের শুরুতেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। যেসব বীর সন্তান স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন, পঙ্গত্ববরণ করেছেন, সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছেন, তাদেরকে স্মরণ করেন। স্মরণ করেন ৫২-এর ভাষা শহীদদের, যাদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মায়ের ভাষা; অর্জিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ দফা (৩) উপ-দফা (ক)-এর বরাতে এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করে সিইসি বলেন, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় আপনাদের সহযোগিতা, সাহায্য এবং সমর্থন কামনা করি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন