বসন্ত মুখর আজি
আনমনা শীত এবার জেঁকে না বসেই ফিরে গেছে; তিলোত্তমা ঢাকায় গাছের পাতায় উন্নয়নের ধুলার যে পরত পড়েছে, তা সরিয়ে সবুজ কুঁড়ি জাগানোর দায়িত্ব বর্তেছে বসন্তরানির কাঁধে।
হেমন্তপ্রেমী জীবনানন্দ ফাল্গুনি জ্যোৎস্নার বাতাসের ডানা ঝাপটানো দেখে ভেবেছিলেন বুঝি মুক্তো। নজরুলের দুয়ারে এসে বসন্ত প্রভাত দাঁড়িয়েছিল ‘নমস্কার’ বলে। আর রবীন্দ্রনাথ লিখে গেছ্নে- বসন্ত যখন দুয়ারে, তখন ‘কোরো না বিড়ম্বিত তারে’।
বণিকের প্রচারে কবিগুরুর সেই বাণীর প্রসার ঘটেছে নানা রূপে। অঙ্গে উঠেছে হলুদ বসন, মাথায় চড়েছে ফুলের মুকুট।
নিসর্গে ঋতুরাজের রঙিন শাসনের অভিষেকে ঢাকাবাসী তারুণ্য ছুটছে শাহবাগে; সেটাই এখন এ বাংলার সাংস্কৃতিক রাজধানী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সোমবার সকালেই শুরু হয় বসন্ত বরণের আনুষ্ঠানিকতা। ২২ বছর ধরে এ আয়োজন করে আসা জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ সবাইকে ডেকেছে, ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’।
শুরুতে সংগীত, তারপর দলীয় নৃত্য। আবৃত্তি, বসন্ত কথন, প্রীতিবন্ধনী বিনিময়, আবির খেলা আর দলীয় পরিবেশনায় ঋতুরাজকে বরণের আয়োজন তাদের। চারুকলার বকুলতলা থেকে পরে শোভাযাত্রাও ছিল।
নৃত্যে, বাদ্যে, কাচ চোখ আর চোখা ঠোঁটের সেলফিতে চারদিকে বেশ উৎসব উৎসব। নবযৌবনের ঋতুকে কেমন দেখেছিলেন নজরুল? তিনি লিখে গেছেন- ‘এল খুলমাখা তূণ নিয়ে খুনেরা ফাগুন।
টিএসসি, পাবলিক লাইব্রেরি আর উদ্যানে উদ্যানে সকাল থেকেই বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় ফুলের হাসি। কবিগুরু কানে কানে বলে যান- ‘হাসির আঘাতে তার, মৌন রহে না আর, কেঁপে কেঁপে ওঠে খনে খনে।’
বকুলতলায় বিকেলে শুরু হয়ে বসন্তবরণ উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এছাড়া পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর আর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চেও রয়েছে বাসন্তি আয়োজন।
ফাগুনের প্রথম দিনে বসন্তের রঙ থাকবে বইমেলাতেও। ১৯৫২ সালে এমনই এক বসন্তের দিনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেক ভাষা শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালির রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা আদায় হয়েছিল। তারই স্মরণে প্রতি বছর এই ফেব্রুয়ারিতেই বাংলা একাডেমিতে বসে বাঙালির মননশীলতার উৎসব- অমর একুশে গ্রন্থমেলা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন