ফুটপথ ছিল বলেই কলারোয়ায় গরীবের শীতের কষ্ট কমলো !!
শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে ততই বাড়ছে ফুটপাতের গরম কাপড় বিক্রির তোড়জোড়। তুলনামূলক নিন্ম আয়ের মানুষরা ছুটছেন রাস্তার পাশের ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকানে তাদের পছন্দের গরমের পোশাক কিনতে আর শীত নিবারণ করছেন ফুটপথের ধারে বসা শীত বস্ত্র দিয়ে।
কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজার গুলোতে জমে উঠেছে ফুটপথের শীত বস্ত্রের দোকানে বেচাকেনা।
রবিবার বিকেলে দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো বাজারে ফুটপথের নিন্ম আয়ের মানুষের কাপড় কিনতে প্রচুর ভিড় করতে দেখা যায়। তাছাড়া সপ্তাহে দু’দিন বৃহস্পতিবার ও রবিবার সেই দুই হাটেও জমে উঠে ফুটপথ কেন্দ্রিক শীতবস্ত্রের ভ্রাম্যমান দোকানগুলো। তখন সাধ আর সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাকটি কিনতে ব্যস্ত থাকেন ক্রেতারা।
এছাড়াও পৌরসদরসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে অনরূপ চিত্র ফুটে উঠেছে।
শুধু পুরুষরা নয়, শিশু থেকে মহিলা সকলেই গরম কাপড় কিনতে ফুটপথের দোকানগুলোতে যাচ্ছেন অনায়াসে। কারণ তুলনামূলক অনেক দাম কম সেখানে।
আসাদুর রহমান নামের এক ক্রেতা জানান- ‘আমি পেশায় ভ্যানচালক। বড় দোকানে গিয়ে বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কেনার মত টাকা আমার নেই। সেজন্য সাধ্যের মধ্য থেকে যেটুকু পারি বাচ্চাদের ও স্ত্রীসহ আমার গরম কাপড় কিনতে এসেছি। ৩’শ থেকে ৪‘শ টাকার মধ্যেই সব কেনা সম্ভব হচ্ছে।’
শাহানা আক্তার নামের এক মহিলা ক্রেতা জানান- ‘তিনি তার মেয়ের জন্য একটি শীতের পোশাক কিনেছেন। গরীব মানুষ কি করবো বলুন? নিজেও লোকের বাসা বাড়িতে কাজ করি। ফুটপাতের কম দামের পোশাকই আমাদের মত মানুষের শেষ ভরসা। আমাদের মত গরীব মানুষের জন্য ফুটপাথ ছিল বলেই শীত কষ্ট অনেকটা লাঘব হচ্ছে।’
এমনই কথা জানালেন দিনমজুর রবিউল ইসলামসহ অনেক কম আয়ের মানুষেরা।
এদিকে, ফুটপথের শীতের গরম পোশাকের ভ্রাম্যমান দোকানদার সাত্তার হোসেন ও অন্যরা জানান- ‘আমরাও গরীব, তাই গরীব মানুষের জন্য ফুটপথে ব্যবসা করছি। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথেই বেচাকেনার হারও বেড়েছে। নিন্ম আয়ের মানুষেরা তাদের পোশাক কিনে নিয়ে যায় এখান থেকে। প্রতিদিনের পাশাপাশি হাটে ৪/৫ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়ে থাকে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন