‘ফাঁস করলে দোষ নেই, পড়লে দোষ!!’ : পরীক্ষার আগে বাসভর্তি শিক্ষার্থীর হাতে প্রশ্ন..
এসএসসির পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার আগে চট্টগ্রামের এক স্কুলের পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন, যা পরীক্ষার আসল প্রশ্নের মিলেও গেছে।
বন্দরনগরীর ওয়াসা মোড়ে পরীক্ষার আগে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ওই প্রশ্ন পাওয়া যায় বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলী জানান।
ওই বাসে পটিয়া আইডিয়াল স্কুলের ৫০ জন পরীক্ষার্থী ছিল। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসার জন্য তারা ওয়াসার মোড়ে বাসের ভেতরে অপেক্ষা করছিল।
প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দিয়ে তাদের মোবাইল ফোনে পাওয়া প্রশ্ন মিলিয়ে দেখা হয়েছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের হাতে পাওয়া পাঁচটি ফোনেই পদার্থ বিজ্ঞানের এমসিকিউ প্রশ্ন ছিল। সেসব প্রশ্ন মিলে গেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ কাজে না আসায় গত রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (মাউশি), সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের নতুন নির্দেশনা পাঠানো হয়।
সেখানে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে হলে ঢুকে আসনে বসতে হবে। ওই সময়ের পরে আর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
আর পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রর ভেতরে মোবাইল ফোনসহ কাওকে পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ আলী জানান, মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগে ওয়াসা মোড়ে একটি বাসে পরীক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। বাসে উঠে তারা দেখতে পান, শিক্ষার্থীরা কোনো কিছু পড়ছে। পরে তাদের তল্লাশি করে বেশ কিছু মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
“সেসব ফোনে কিছু প্রশ্নের সফট কপি পাই আমরা। সেগুলো তারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পেয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।”
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. হাবিবুর রহমান এবং চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, পরীক্ষা পরিচালনার বিধিমালা অনুযায়ী তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে, ভূক্তভোগিসহ অভিভাবক ও সচেতন মহল মনে করছেন- ‘আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে হবে। প্রশ্ন যারা ফাঁস করছে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের আগে ধরতে হবে। তারপর শিক্ষার্থীসহ যারা পড়ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধুমাত্র যারা পড়ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ সম্ভব হবে না।’
তারা আরো অভিমত পোষন করে জানান- ‘কথায় বলে -করলে দোষ নেই বললে দোষ। আর প্রশ্ন ফাঁসের ক্ষেত্রে ফাঁস করলে দোষ নেই পড়লে দোষ- এমনই অবস্থা যেন পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারণ কোন বিষয় সামনে আসলে অনেকেই সেটা কৌতুহল কিংবা কারণে-অকারণে চোখ দেবে- এটাই স্বাভাবিক। আর তাই আগে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশ্ন ফাঁসে যারা জড়িত। কেননা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ছাপানোর কাজে সরাসরি জড়িত থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রশ্ন যদি তারা ফাঁস না করে তবে ইন্টারনেটে আসবেও না আর ঢালাওভাবে শিক্ষার্থীদের কাছেও পৌছাবে না।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন