পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ‘বিদ্যুৎ সংযোগ বাণিজ্য’!
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। একটি সিন্ডিকেট চক্রের যোগসাজশে চলছে মিটার, তার ও খুঁটি বানিজ্য।
বিদ্যুত সংযোগ পেতে দালালের মাধ্যমে স্টাকিং শীটে নাম থাকা গ্রাহকদের নিকট থেকে খুঁটিবাবদ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মালামালের অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে গ্রাহক প্রতি ১৩ হাজার টাকা দেওয়ার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করছে। পল্লী বিদ্যৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ও দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকসেবা।
দালালদের হাতে টাকা দিয়েও বছরের পর বছর বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না গ্রাহকরা।
এভাবেই দিনের পর দিন চলে আসছে অনিয়ম ও দুর্নীতি। মঙ্গলবার উপজেলার দক্ষিন সোনাখালী ও বাদুরতলী গ্রামের গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৫জন গ্রাহক অভিযোগ করেছেন প্রায় ১লাখ টাকা খরচ করে তারা খুঁটি পাস করিয়েছেন।
সাপলেজা ইউনিয়নের কিছু গ্রাহক জানান- সার্ভিস তার, মিটার ও খুঁটি বাবদ আমাদের লর্ডের গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি দালাল চক্র। কোন কোন লর্ডে ২০০ জন, কোনটায় ১৪৮জন আবার কোনটায় ৩০০ জন গ্রাহকও থাকে। নতুন সংযোগের যেখানে গ্রাহক বেশি সেখান থেকে ১০ লক্ষ টাকারও বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে দালালদের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে একজন গ্রাহক মোবাইলে অভিযোগ করে জানান- ১০মাস হয়েছে খুঁটি বাবদ ২০ হাজার টাকা দিয়েছি।এখনও খুঁটি পাইনি। আজ দেব কাল দেব বলে ঘুরাচ্ছে।
৮/১০ জন হিন্দু গ্রাহক জানান- আমাদের বাড়ি নাকি মাপে পড়ে নাই। এখন খুঁটি ও তার কিনতে হবে। এজন্য আমরা সবাই মিলে ৩ মাস পূর্বে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখনও সংযোগ পাই নাই।
এভাবে মঠবাড়িয়ার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নেই চলছে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের নামে টাকা নেয়ার হিরিক। দালাল চক্রের হাত অনেক লম্বা থাকায় মুখ খুলতে চায় না অনেকেই।
৯৮বছর বয়সী একজন গ্রাহক জানান- “আর কতদিন বাঁচব জানি না।পাশের ঘরে বিদ্যুত পাইছে আর আমি পাই নাই।একটা খুঁটি ১৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। সার্ভিস তার এবং মিটার এখনও পাই নাই। একজন দালালের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাকে আরও ৪০০০ টাকা না দিলে সংযোগ পাওয়া যাবে না।”
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ মঠবাড়িয়া জোনের ইন্জিনিয়ার বাবুল মিয়া জানান- গ্রাহকরা দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) জুলফিকার রহমান জানান- শেখ হাসিনার উদ্যোগ- ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। প্রতিটি ঘরে অচিরেই বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। সরকারি নিয়মে নতুন মিটার সংযোগেের জন্য প্রতি আবেদন ফরমে ১’শ, জামানত ৬’শ ও সদস্য হতে ২০ টাকা দিতে হয়। কয়েকজন দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান আছে। অফিসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংশ্লিষ্ট থাকলে তারাও রেহাই পাবে না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন