গ্রামের ভিতরে...
দূর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ : হতভাগা পলিথিন ঘরের বাসিন্দা বনাম ভাগ্যবান স্বচ্ছল ব্যক্তি
আব্দুর রহমান
বাড়ীর কাছে আরশি নগর,
সেথা পড়শি বসত করে,
ও একঘর পড়শি বসত করে
আমি একদিনও নাই দেখিলাম তারে…..
তারিখটা ছিল গত ১০ জুলাই। সকালে এক সাংবাদিক বড় ভাইযের ফোন পেয়ে নিজে জানলাম, আজ দুপুর ১২টায় কলারোয়া ইউএনও অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচিবালয় থেকে এক বড় কর্মকর্তা তদন্তে আসছেন। আমি বললাম কোন বিষয়ে? উত্তর পেলাম জানিনে; তবে তদন্ত অনুষ্ঠানে থাকতেই হবে। ওই সাংবাদিক বড় ভাইয়ের পরিচয় না দিলে নিজের কাছে ছোট হয়ে থাকবো আমৃত্য। তাই তাঁর পরিচয় টা আগেই দিয়ে নিই। না হলে মনের অজান্তে ভ’লে যেতে পারি। ওই সাংবাদিক বড় ভাইয়ের নাম শেখ মোসলেম আহমেদ। তিনি কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। ওই দিন সকাল ১১টায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বন্ধুবর আমিনুল ইসলাম লাল্টু পৌর সভাধীন বিশ্বাস মার্কেটস্থ তার ব্যক্তিগত অফিসে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মিটিং করছিলেন। ওই মিটিংয়ের খবর কভারেজ দিতে সেখানে উপস্থিত হই। ঘড়ির কাটা দুপুর ১২টা ছুই ছুই ভাব। মিটিং থেকে দ্রুত নিজের মোটর বাইকে চেপে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌছে দেখি, সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহানেওয়াজ এবং সহকারী কমিশনার (ভ’মি) আক্তার হোসেন বড় কর্মকর্তা’র রিসিভ করার জন্য অপেক্ষায়। অল্পক্ষণের মধ্যে সেখানে হাজির হলেন অগ্রজ বড় ভাই সাংবাদিক শেখ মোসলেম আহমেদ ও কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যা. এমএ কালাম এবং অনুজ সাংবাদিক সরদার জিল্লু। আগে থেকে সেখানে অপেক্ষামান ওই দু’কর্মকর্তর সাথে আমরা কথা বলতে ছিলাম। হঠাৎ একটি গাড়ি হুইসেল বাজিয়ে ইউএনও অফিস চত্বরে ঢুকে থামল। গাড়ি থেকে একে একে নেমে আসলেন তদন্তে আসা সেই বড় কর্মকর্তা, জননন্দিত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এমএম মোস্তফা কামাল, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়, সাতক্ষীরা সদর পিআইও এবং ওনাদের সাথে আসা পিওন বর্গ। সোজা ঢুকে পড়লেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রুমে। সাথে আমরাও ঢুকলাম। ইউএনও আরএম শাহনেওয়াজ ও কলারোয়া’র পিআইও সুলতানা জাহানও আছেন সেখানে। পরিচয় পর্বের শেষ দিকে হাজির হয়ে গেলেন সেখানে কলারোয়ার কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান। বড় কর্মকর্তা হলেন ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এটিএম কামরুল ইসলাম।
তিনি উপস্থিত সকলকে জানালেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ “ দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ ” প্রকল্পের কাজ। ইউএনও এবং পিআইও’র কাছে প্রশ্ন করলেন কেন জুনের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ কলারোয়ায় শেষ হয়নি ? এমনকি শুরু পর্যন্ত হয়নি? প্রতিউত্তরে ওই কর্মকর্তারা কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি। তাঁদের জড়ানো কথায় কারো বুঝতে বাকি থাকলো না যে, ইউপি চেয়ারম্যান,পিআইও এবং ইউএনও’র মধ্যে চরম স্বন্বয় হীনতায় প্রধান মন্ত্রীর দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ হয়নি। উপস্থিত চেয়ারম্যানরা ওই অনুষ্ঠানে বড় কর্মকর্তার সামনে অভিযোগের সুরে বলে বসলেন স্যার,এবিষয় আমরা গতকাল অবধি কিছুই জানিনে। উপজেলার কোন দপ্তর থেকে আমাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি।এখবর শুনে বড় স্যার তো রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি বললেন এক্ষুনি কাজ শুরু করতে হবে। প্রকল্পটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ। প্রকল্পের কাজে কোনো রকম গাফিলতি মানা হবেনা। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্পে বরাদ্ধ কলারোয়ার ১৭টি বাসগৃহের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। পরে তিনি হেলাতলা ইউনিয়নে প্রকল্পের একটি বাসগৃহ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
যাক অনেক হলো, এবার আসা যাক মূল কথায়। দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্প “হতভাগা পলিথিন ঘরের বাসিন্দা বনাম ভাগ্যবান নাশকতাকারী স্বচ্ছল ব্যক্তি” শিরোনামের দিকে। নবিজান বিবি। স্বামী মৃত নছিমউদ্দীন গাজী। বাড়ী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মানিকনগর গ্রামে। সে এবং তার পরিবর্গের সকলেই আওয়ামীলীগের সমর্থক। আমার বাড়ীও একই গ্রামে।ওই নবিজান বিবির বাসগৃহ পলিথিন ঘরের পাশ ঘেসে থাকা রাস্থা দিযে আমি দিনে রাতে নিদেন পক্ষে চারবার যাতায়াত করি। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে,আমি তার বাসস্থানের খবর রাখিনি। এর আগে মনে করতাম ওই ঘরটি ছাগলের বাসগৃহ। গত দু’দিন আগে সন্ধ্যা রাতে এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পারলাম, ওই ঘরটি ছাগলের নয় ; ওটা নবিজান বিবির বাসস্থান। আক্কেল গুড়ুম। খবরটি শোনার পর ওই রাতের চোখের ঘুম যেন হারাম হয়ে গেল। রাত পোহালেই ছুটে যাই নবিজান বিবির বাড়ি। তিনি তখন বাড়িতে ছিলেন। সম্পর্কে দাদী হন। তার বয়স আশীতিপর। তবে জাতীয় পরিচয় পত্রে তার জন্ম ১৯৪৯ সালে। বয়সের ভারে সবসময় থাকে ন্বুজ্য হয়ে। আমার দেখা মাত্রই তিনি বললেন,বয় ভাইগো। তা বসতে দোবো কনে। আমার হ্যানে মানুষ আসলি বসতি দিতি পারিনি। কেতে বসতি দেবো। তুই ক কি মনে করে আসলি ক (আঞ্চলিক ভাষা)।
নবিজানের বাসগৃহের সামনে দাড়িয়ে তার সাথে কথা বলে জানতে পারি, সে বিধাব হয়েছে প্রায় চল্লিশ বছর আগে।তার পাঁচ সন্তান ছিলো। বর্তমান দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ছেলেরা খেতে পরতে দেয়না। মেয়ে শহিদার সাথে সে খায়। তবে মেয়েও স্বামী পরিত্যাক্তা। জিজ্ঞেস করলাম,পলিথিন ঘরে ওই গুলো কি? সে জানালো বিছেন খিতা। হনে আমি থাকি। আমার ঘর নেই। জানতে চাইলাম,ওই ঘরে কতদিন থাকেন। উত্তরে বললো তা হয়েছে পনর বছর তো হবে। বললাম খাওয়া-দাওয়া কিভাবে হয টাকা পয়সা কে দেয়? বললো হাসিনা (প্রধান মন্ত্রী) দ্যায়। আমার বিধাব ভাতার কার্ড আছে। সেই টাকার মদ্দি চাল,ডাল,কাপড় চোপড় নোগ ব্যায়রাম (অসুখ) সব। কোন ছেলেরা খরচ দেয়না ? না। এখন চলতি পারিনি। পারলে লোকের কাছতে চায়ি চিনতে খাতাম। হাসিনা ওই কডা টাকা দেয়। তাও তিন মাস পর পর। ওই টাকা না হলি না খায়ি মরে পড়তাম পলিথিনির মদ্ধি বলে ডুকরে কেঁদে ফেলেন নবিজান। হায়! একি দেখলাম। স্বচক্ষে নবিজান বিবির বাড়ি দেখলাম। বাড়িটি কালো রঙয়ের পলিথিন দিয়ে ছাউনি। আর সিমেন্টের খালি বস্তা দিযে বাড়িটি তিন পাশ ঘেরা। চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ঘরটির দৈর্ঘ্য আনুঃ হাত চারেক আর প্রস্থ আড়াই হাতের মতো। ঘরটির পূর্ব পাশে গরুর গোয়াল। সেখানে নবিজান বিবির মেয়ের একটি গরু থাকে। যেটা নবিজানের ঘরের সাথে একাকার। গরুর গোবর আর প্রসাবের গন্ধ নবিজানের নিত্য সাথী। হায়রে নবিজানের কপাল!
অন্যদিকে মনছুর সানা। বাড়ী উপজেলার দঃক্ষেত্রপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত বাবরালী সানা। সেখানকার স্থানীয় মেম্বর ও জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি জয়দেব সাহা’র সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, মনছুর সানা স্বচ্ছল ব্যক্তি। আবাদী অনাবাদী মিলে সে বিঘে দুই জমির মালিক। অবিবাহিত এক মাত্র ছেলে হুমায়নসহ তারা স্বামী স্ত্রী মিলে তিন সদস্যের সংসার। রাজনৈতিক অঙ্গনে মনছুর সানা জামায়াতে ইসলামীর তুখোড় কর্মী। ২০১৩ সালে দেশে যখন সরকার উৎখাত আন্দোলন শুরু হয় তখন মনছুরের ভ’মিকা স্মরণীয়। সে অত্র এলাকায় রাস্থা কাটা,গাছ কাটা, আ’লীগ ঘরনার লোক জনদের মারধরসহ তাদের বাড়ি হামলা পর্যন্ত করে। মনছুর সানার নিজ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মাফুজার রহমান মোড়লের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মনছুর সানা জামায়াতের কর্মী। শুধু সে না তাদের ভাই ভাগ্গোররাও সব জামায়াতের দল করে। মনছুরের পাশের গ্রামের উঃক্ষেত্রপাড়া ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতি আঃ রহমান মোড়লও তার কিস্ছা কাহিনী শুনালেন। বললেন,২০১৩ সালে এএলাকায় জামায়ত একচ্ছত্র অধিপতি গড়ে তোলে। হেন কোন কাজ নেই যে জামায়াত তা করিনি। মনছুর সানা সেসব ঘটনার সাথে প্রকাশ্যভাবে জড়িত ছিলো। তিনি বলেন শুধু তাই না, ২০১৩ সালের ১২ ডিস্মেবর রাতে তার ভাই জয়নগর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান জজ আলিকে তার দোতালা ঘর থেকে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা জোর করে তুলে নিয়ে ক্ষেত্রপাড়া খালের ধারের রাস্থার পাশে জবাই করে ফেলে রেখে যায়। মনছুর সানাও সেই খুনিদের দোসর হিসেবে সেদিন রাতে কাজ করেছিল। সরকার দলীয় জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন আল-মাসুদের আপন খালু ওই জামায়াত কর্মী মনছুর সানা। তাই তিনি খালুর গায়ে তাপ ঝ্ঙ্ক লাগতে দেন নাই। জানাগেছে,২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনের পর এলাকায় আইন শৃঙখলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেলে মনছুর সানা মালায়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। সেখান থেকে গত৭/৮ মাস আগে বাড়ি ফিরেছে। জনরোষের ভয়ে বাড়ির বাইরে যায়না সে। তার বসত বাড়িতে রান্নাঘর ও গরুর গোয়াল ঘর পর্যন্ত পাঁকা।
গত ১৪ জুলাই জয়নগর ইউপি মেম্বর রিজাউল বিশ্বাস জানান, মনছুর সানার সকল কু-কৃর্তী উল্লেখ করে তাকে প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ “ দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ ” প্রকল্পের ঘর যেন না দেওয়া হয় তার আবেদন করেছেন ইউএনও’র কাছে। আবেদনের পর ইউএনও স্যার ১৫ জুলাই তাঁর অফিসে আমাকে ডাকেন। আমি যথারিতী স্যারের সাথে দেখা করি। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো উল্টো ইউএনও স্যার আমাকে মনছুর সানার ঘরের বিষয় বাঁধা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ঘটনাটি নিয়ে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর সাথে কথা বলে জানাগেছে,তিনিও ইউএনও কে অনুরোধ করেছেন দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের তালিকা থেকে মনছুর সানার নাম বাদ দিতে। কিন্তু ইউএনও তাতে নারাজ। এসব কথা শুনে আমি (লেখক) নিজেও হতবাক। ১৪ জুলাই বিকালে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ইউএনও সাহেবের সাথে তাঁর দপ্তরে। তাঁর কথায় বুঝলাম চেয়ারম্যান সাহেব নামের তালিকা দিয়েছেন। ওই তালিকা পরিবর্তন করা অসম্ভব।কথায় এটাও বুঝলাম তিনি মনছুর সানার প্রতি বিশেষ কারনে দুর্বল।
সব চেয়ে আশ্চর্যয়ের বিষয় হলো এত অভিাযোগ মনছুর সানার বিরুদ্ধে থাকলেও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ‘দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের ঘর ওই মনছুর সানার ভাগ্যেই মিললো। অথচ হতভাগা পলিথিন ঘরের বাসিন্দা নবিজান বিবির হয়ত: আমৃত্য তার পলিথিন ঘরের বাসিন্দা হয়ে থাকতে হবে।
লেখক-
আব্দুর রহমান
সাংবাদিক,
দৈনিক পত্রদূত, দৈনিক সংবাদ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলারোয়া নিউজ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন