রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

দুর্নীতির চিত্র গোপনে ধারণ অপরাধ হবে না: আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা কীভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য হয়রানিমূলক, সেটা জানেন না আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই ধারার জন্য দুর্নীতি বা অপরাধের গোপন চিত্র ধারণ অপরাধ হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার জন্য গুপ্তচরবৃত্তির আইন কোনো নতুন বিষয় না। এই ধরনের আইন আগেও ছিল। এবার ডিজিটাল আইনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে মাত্র।

এই ধারার কারণে দুর্নীতির চিত্র গোপনে ধারণে কোনো অপরাধ হবে না বলেও জানান আইনমন্ত্রী। বলেন, ‘একজনের দুর্নীতির ফাইল, ঘুষ লেনদের চিত্র ধারণ করলে বা অপরাধ প্রকাশ করলে কোনো অপরাধ হবে না।’

‘আপনি যদি কোনো দুর্নীতি বা অপরাধ প্রকাশ করেন, তাহলে আপনি সরকারকে সহযোগিতা করছেন, কোনো আইনে এটা অপরাধ হবে না, এটা আপনাদের আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই।’

সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিধিবদ্ধ সংস্থার কোন গোপনীয় বা অতি গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস বা কম্পিউটার নেটওয়ারর্কে ধারণ, প্রেরণ, সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে সেটা হবে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ।’

এই আইনে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড।

এই ধারাটির ফলে বিশেষ করে ডিজিটাল মাধ্যমে সাংবাদিকতা করা কঠিন হয়ে যাবে বলে সমালোচনা উঠেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের দুর্নীতি যেন ফাঁস না হয়, সে জন্যই এই আইন করা হচ্ছে।

তবে এই ধারার কারণে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন না আইনমন্ত্রী। গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে ধারাটি পড়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাকে বোঝান, এখানে সাংবাদিক কীভাবে হয়রানির শিকার হবে?’।

একজন গণমাধ্যম কর্মী বলেন, ‘আপনার সামনে একটি অতি গোপনীয় জিনিস ছবি তুললাম, আমি তো তাহলে অপরাধের সামিলের কাজ করলাম।’

পরে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রের অতি গোপনীয় জিনিস চুরি করা বা নেয়া তো বর্তমান আইনেও অপরাধ। আমরা শুধু বলেছি, এটা ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে যদি কেউ চুরিটা করে, তাহলে সেটা অপরাধ হবে।’

তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার চেয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি আইন আরও কঠোর হয়ে গেলো কি না, এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৫৭ ধারা পড়লে মনে হয় দুনিয়ার সব অপরাধের বিচার এর মধ্যে করা যায়। এ কারণে এটা নিয়ে বিতর্ক আছে এবং এ জন্যই আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছি।’

‘এই আইনে প্রত্যেকটা জিনিস আমরা স্পষ্ট করেছি। আগে ৫৭ ধারায় সর্বনিম্ন সাজা ছিল সাত বছর, সর্বোচ্চ ছিল ১৪ বছর। মাইনর অপরাধ করলেও সাত বছরের সাজার বিধান ছিল। কিন্তু এই আইনে সর্বনিম্ন সাজা হলো তিন বছর।

‘প্রত্যেকটা জিনিক আমরা সুনির্দিষ্ট করেছি, স্পষ্ট করেছি। আমাদের এই আইনটা করার উদ্দেশ্য হলো, কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীও চান।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • বাংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটি ও কানাডার কর্টলার ইন্টারন্যাশন্যাল, রেসিন্ট ইন্টারন্যাশন্যালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
  • চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • মোবাইল ছিনতায়কারীকে দৌড়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • পুলিশের ব্যাংকের যাত্রা শুরু
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী