তুলা আমদানিতে এক নম্বর বাংলাদেশ
এক দশক আগেও বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোর প্রয়োজনীয় কাপড়ের সিংহভাগই আমদানি করা হতো বাইরে থেকে। ফাস্ট ফরোয়ার্ড ২০১৮: বিশ্বের এক নম্বর তুলা আমদানিকারক দেশ এখন বাংলাদেশ। আগে এই তালিকার শীর্ষে ছিল চীন। কীভাবে এটা সম্ভব হলো? এক দশক আগেও বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়ের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখন দেশের কারখানায় তৈরি কাপড়ই নিজেদের চাহিদা পূরণ করছে। আর এই কাপড় তৈরি করতে যে পরিমাণ তুলা দরকার তার ৯৭ শতাংশ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। মূলত ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসে এই তুলা। বাংলাদেশ কটন এসোসিয়েশনের পরিচালকদের একজন মোহাম্মদ আইয়্যুব জানাচ্ছেন, “টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পে সবচাইতে বেশি তুলা দরকার হয়। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই যে খাত থেকে আসে তার জন্য সবচাইতে দরকারি কাঁচামাল হল সুতা ও কাপড়। সেটি তৈরিতে বাংলাদেশের গত এক বছরে ৬৫ লক্ষ বেল তুলার দরকার হয়েছে।” চলতি বছরে তুলার আমদানি ৭০ লক্ষ বেল-এ পৌঁছে যাবে বলে এই এসোসিয়েশন বলছে। কয়েক দশক আগেও বাংলাদেশে স্পিনিং মিলের সংখ্যা ছিল নগণ্য। কিন্তু এখন ৪২৫টি স্পিনিং মিল ও প্রায় ৮০০ টির মতো টেক্সটাইল কারখানাতে আমদানি করা সুতা ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের রপ্তানি আয় এখন বছরে ৩০০ কোটি ডলার যা ২০২১ সালের মধ্যে ৫০০ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেটি করতে সামনে বাংলাদেশ আরো বেশি তুলা আমদানি করবে বলেই হিসেব বলছে। কিন্তু বাংলাদেশ কেন নিজেই তুলা উৎপাদন করছে না? বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন বলছেন, বাংলাদেশের মোট কৃষি জমি সাড়ে ৮০ লক্ষ হেক্টর। তা দিয়ে বাংলাদেশ মূলত খাদ্য চাষ করে। তিনি জানান, “তুলা চাষ করতে বেশ লম্বা সময় লাগে। যেমন ধরুন, তুলা ওঠা পর্যন্ত ছয় মাসের মতো অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ঐ সময়ে কৃষকরা দুটি শস্য তুলে ফেলতে পারে।” সেক্ষেত্রে তুলাকে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে সবজি ও কলার সাথে। কিন্তু এত বেশি মানুষের খাদ্যের যোগান যে দেশে করতে হয় সেখানে সেটি সম্ভব নয়। কারখানাগুলোর প্রয়োজনীয় কাপড়ের সিংহভাগই আমদানি করা হতো বাইরে থেকে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর করা হবে’ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনা গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্ত গঠিতবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন
সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে এসেবিস্তারিত পড়ুন