কলারোয়ায় হ্রাস পাচ্ছে আতা ফল ও গাছ!
‘আতা গাছে তোতা পাখি, ডালিম গাছে মৌ, এত ডাকি তবু কথা কওনা কেন বৌ’- কবির ভাষায় ছড়ার সেই আতা গাছ ও আতা ফল কলারোয়া হ্রাস পেতে শুরু করেছে। আগের মতো আতা গাছ ও ফলের আধিক্যতা কমে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। অথচ আতা ফলের গুনাগুন কোনভাবেই কম নয়।
কলারোয়া উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই সুস্বাদু ও উপকারী ফল আতা।
আগে প্রায় সব বাড়ীর ও জমির আঙ্গিনায় আতা গাছ দেখা গেলেও এখন চোখে মেলানো মুসকিল হয়ে পড়েছে। আতা ফল পাওয়া গেলেও আগের মতো আর হরহামেশা পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তার দামও নেহাত কম নয়। এ ফলের মৌসুমে আতা খেতে তাই অনেককে ব্যাকুল হতে দেখা যায়। হাটবাজারে পাওয়া গেলেও অনেক ক্ষেত্রে দাম যেমন বেশি তেমনি থাকে অপরিপক্ব। কিন্তু কয়েক বছর আগেও অনেকে আতা ফল খেতে ভালোবাসতো, হাতের নাগালে পেতো।
অনেকে জানিয়েছেন- মানুষের অনাগ্রহের কারণে আতা গাছ রোপন কিংবা চাষাবাদ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে আতা ফলও যেনো হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ আতা ফল অত্যন্ত সুস্বাদু ও উপকারী।
সংশ্লিষ্টরা আরো জানিয়েছেন- দেশিয় ফল আতার আরেক নাম শরীফা। নোনা নামেও এটি পরিচিত। তবে আতা নামেই এ ফলটি সারা দেশে বেশি পরিচিত। বর্তমানে নানা কারণে প্রকৃতির মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশিয় মুল্যবান ও উপকারী এসকল উদ্ভিদরাজি। তেমনি একটি দেশিয় বৃক্ষ আতাগাছ। আর এ আতা গাছেই জস্মে সুস্বাদু ফল ‘আতা’। বসত বাড়ির আঙ্গিনায় ও ঝোপ জঙ্গলে আতা গাছ জন্মে। আতা ফল আমাদের দেহ গঠনের জন্য খুব উপকারী।
ইউনানি চিকিৎসক হাকিম মো. মজিবর রহমান আতা ও গাছের উপকারিতার বিভিন্ন কথা বলেন, আতা ফলে রয়েছে খাদ্যআঁশ যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে। আতাফলে রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি আছে। আর এই ভিটামিন উপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। যাদের চোখের সমস্যা তারা আতা ফল খেলে চোখের ভাল উপকার পাবে। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখার জন্য এফল অত্যন্ত কার্যকর। আতা ফলের ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশির জড়তা দূর করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি ৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আতাফলে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দুরারোগ্য ব্যাধিকে দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। আতা গাছের মূলের ছালের রস ২০/২৫ ফোঁটা ৭/৮ চা চামচ দুধ সহ খেলে আমাশয় ভাল হয়ে যায়। মাথায় উকুন দূর করতে আতাগাছের পাতার রস ২ চা চামচ তার সঙ্গে ২/১ চা চামচ পানি মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখলে উকুন মরে যাবে। একদিনে ফল না পেলে ২/৩ দিন পর আবার লাগাতে হবে। অভিজ্ঞ মহলের ধারনা দেশিয় প্রজাতির আতা ফল গাছটিকে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই রক্ষা করা প্রয়োজন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন