সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর উপর। ওই গৃহবধূর নাম তহমিনা খাতুন(১৯)। হত্যার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের নিজ পিত্রালয়ের এ ঘটনাটি ঘটে। তহমিনা ওই গ্রামের ইমান আলি সরদারের মেয়ে।

দেয়াড়ার ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হোসেন ও স্থানীয়রা জানান- বছর দুই আগে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার রাজবাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলামের সাথে তহমিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী মনিরুল যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তহমিনাকে প্রায় নির্যাতন করতো।
মেয়ের সুখের কথা ভেবে তহমিনার পরিবার মনিরুলকে লক্ষাধিক টাকা যৌতুকও দেয়।

বুধবার বিকেলে মনিরুল আকস্মিক শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তহমিনাকে নিজ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা জানায়। এরপর সে শ্বশুর বাড়িতে রাত যাপন করে।

ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোন এক সময় মনিরুল স্ত্রী তহমিনার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সে সময় পর্যন্ত ঘটানটি সবার অজানাই ছিলো। কিন্তু পরে মনিরুল তার শ্বশুর বাড়িতে ফোন করে স্ত্রীর খোঁজ নেয়ায় পরিবারের লোকজন তার ঘরে যায়।

এসময় বাড়ির লোকজন ঘরে ঢুকে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তহমিনাকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব দেবনাথ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান- তহমিনাকে প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।

মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্বামী মনিরুলকে আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে ওসি বিপ্লব দেবনাথ জানান।

এদিকে, আমাদের খোরদো প্রতিনিধি সরদার কালাম জানান- দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী তহমিনা খাতুনকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী মনিরুল ইসলাম (৩০)। উপজেলার দেয়াড়ার সানা পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দেয়াড়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী ইমান আলীর মেয়ে তহমিনা খাতুনের সাথে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার রাজবাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলামের সমাজিক ভাবে বিবাহ হয় বছর দেড়েক আগে। বিয়ের পর থেকে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলো।

শ্বশুর বাড়িতে এসে মনিরুল বুধবার রাতের খাবার খেয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে ঘরের ভিতর ঘুমিয়ে পড়ে। বৃহষ্পতিবার সকালে তহমিনাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার স্বজনরা। সেসময় সেখানে স্বামী মনিরুল ছিলো না।

ধারণ করা হচ্ছে গভীর রাতে স্বামী মনিরুল স্ত্রী তহমিনা খাতুনকে গলায় উড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক পরীক্ষা করে সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করেন।

এদিকে, একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে- পলাতক স্বামী মনিরুল ইসলাম তার ছোট ভাইয়ের সাথে পরকীয়ার সন্দেহে নিজের স্ত্রী তহমিনার সাথে মনোমালিন্য চলে আসছিল। স্বামীর সন্দেহ মিথ্যা বলে জানিয়েও ছিল তহমিনা খাতুন। এরই মাঝে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে তারা। রমজানের রাতে ঘুমন্তবস্থায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা করা হচ্ছে।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---