কলারোয়ায় শুটকি মাছে খাদ্যে তৈরীতে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ।। প্রতিকার চেয়ে গণদরখাস্ত
কলারোয়ায় শুটকি মাছের দুর্গন্ধে পরিবেশ দুষিত হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন রোগের আশঙ্কায় ভুগছে পথচারীসহ এলাকাবাসী।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের গণপতিপুরে ওই শুটকি মাছের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেছে তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর শুটকি মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরা এলাকায়। শুটকি মাছের দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এঘটনার প্রতিকার চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে-সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের গণপতিপুরে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে-হেলাতলা ইউনিয়নে গণপতিপুরে মেসার্স ভাই ভাই ফিস ফিড মিলের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম সরকারের কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে তিনি গোপনে মেসার্স ভাই ভাই ফিস ফিড নামে একটি শুটকি মাছের খাদ্য তৈরীর মিল স্থাপন করেন। ওই এলাকায় এ ধরনের শুটকি মাছের খাদ্যে তৈরী মিল হওয়ায় একটি কলেজ, একটি স্কুল, একটি গ্রামীণ ব্যাংক, একটি মসজিদসহ এলাকাবাসী তাদের সকল কাজ কর্ম করতে দারুন অসুবিধা হচ্ছে। এত দুর্গন্ধ যে রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করতেও পারছে না। এই শুটকি মাছের দুর্গন্ধে আমিনুর রহমান ও তার শিশু কন্যা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসীরা জানান-মেসার্স ভাই ভাই ফিস ফিড মিলের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম প্রতি মাসে তার মিল থেকে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকার মাছের খাদ্যে তৈরী করে বিক্রয় করছেন। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ফায়ার ব্রিগেড, ইনকাম ট্যাক্স ভ্যাট না দিয়ে সম্পর্ন অবৈধ ভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার সকালে এধরনের অভিযোগ তুলে ধরে এলাকাবাসীর পক্ষে আমিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন- এলাকাবাসীর পক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলারোয়াসহ সরকারে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন- গণপতিপুরের সাধারণ মানুষ অস্বাস্থকর পরিবেশ, শব্দ দূষন ও পচা দুরগন্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে মেসার্স ভাই ভাই ফিস ফিড মিল বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে, এবিষয়ে কলারোয়ার হেলাতলার গণপতিপুরের মেসার্স ভাই ভাই ফিস ফিড মিলের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- তার মিলের সকল ধরনের কাগজ পত্র, ছাড়পত্র নবায়ন করার জন্য আবেদন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান- একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন এবং মিল বন্ধ রেখে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য মিল মালিককে জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
কলারোয়ার দমদম বাজার মার্কেটের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন