সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সুফিয়া খাতুন নামে দুই সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার যুগিখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুফিয়া ওই গ্রামের মৃত সামছুর রহমানের স্ত্রী। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর বাড়িতে একা থাকতেন সুফিয়া খাতুন (৪৫)। ছেলে মালয়েশিয়ায় আর মেয়ে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন।

গত সোমবার সন্ধ্যায় সুফিয়া খাতুনের জামাতা (মেয়ের স্বামী) গোলাম মোস্তফা শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ওই রাতেই তাকে কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তবে জামাই কখন ওই বাড়ি থেকে চলে গেছেন তা কেউ জানাতে পারেনি।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের লোকজন সুফিয়া খাতুনকে মৃত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সুফিয়ার মেয়ে মোস্তফার স্ত্রী শিল্পী খাতুন বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় আমার স্বামী আমার মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলো এবং মঙ্গলবার সকালে বাড়ি আসে। ওই রাতেই এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তা আমি জানি না।’

মৃত সুফিয়ার দেবর যুগিখালী গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আলমাস জানান, ঘাতকরা তার ভাবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোনার চেইন, কানের দুল, মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫-৩০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

সুফিয়ার ভাই যশোর শহরের চাঁচড়া তেঁতুলতলা রুস্তম আলীর ছেলে আব্দুল খালেক বলেন, ‘ওই রাতে আমার ভাগ্নে-জামাই মোস্তফা আমার বোনের বাড়িতে আসে এবং পরের দিন সকালে চলে যায়। শাশুড়ির মৃত্যুর খবর জেনেও সে পরে ফিরে আসেনি। তাই ঘটনার সাথে ভাগ্নে-জামাই জড়িত থাকতে পারে বলে আমার সন্দেহ। তাকে গ্রেফতার করলে হয়তো হত্যার সঠিক রহস্য উদ্ঘাটন হতে পারে। কারণ ভাগ্নে-জামাইয়ের সাথে আমার বোনের বিরোধ চলছিল।’

সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুফিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠান। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক শেখ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সুফিয়ার ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে একটি এজাহার দিয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না তিনি কীভাবে মারা গেছেন।
ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---